ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে…

প্রকাশঃ এপ্রিল ২৫, ২০১৫ সময়ঃ ৮:৫১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:২০ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

bad smellঘামে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে গরমের দিনে ঘাম একটা দুর্বিষহ অবস্থায় চলে যায়। এই ঘামের ফলেই শরীরে সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ । আর শরীরে দুর্গন্ধ হওয়াটা খুবই অস্বস্তিকর এবং বিব্রতকর।

সবারই শরীরে ঘাম উৎপন্ন হয় । তবে কিছু মানুষ আছেন যারা অতিরিক্ত ঘামে। ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধিজনিত কারণে তাদের শরীরে অপ্রিয় ঘ্রাণের সৃষ্টি হয় । একে Hyperhidrosis বলে । শরীরের দুর্গন্ধ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা হলেও এটা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়।

গ্রীষ্মকালের কথা চিন্তা করে এখন থেকেই অনেকে মনে মনে উদ্বিগ্ন হওয়া শুরু করেছেন। তবে কয়েকটি সাধারণ বিষয় মেনে চললেই এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব ।

১. যাদের Hyperhidrosis এর প্রবণতা আছে তাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত । ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখবেন দুর্গন্ধ হওয়ার জন্য কোনো শারীরিক সমস্যা কাজ করছে কিনা ।

২. যারা মাছ , মাংস , ডিম , দুধ ইত্যাদি আমিষজাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের ঘামের দুর্গন্ধ সাধারণত বেশি হয় । তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল ও সবজির পরিমাণ বেশি রাখুন ।

৩. সুতি কাপড় দেহকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে সাহায্য করে । গরমের সময় সিনথেটিক কাপড় এড়িয়ে চলুন ।

৪. কাপড় চোপড় বিশেষ করে অন্তর্বাস নিয়মিত বদলাতে হবে এবং ধুয়ে পড়তে হবে ।

৫. নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন । অবাঞ্চিত লোম নিয়মিত পরিষ্কার করুন । এতে যেমন ঘাম নির্গমনের সময়কার অস্বস্তি দূর হবে তেমনি ব্যাকটেরিয়া জন্মাতেও বাধা দেবে ।

৬. প্রতিদিন গোসল করতে হবে । গোসলের পানিতে গোলাপজল ব্যবহার করুন । এতে ঘামের পরিমাণ কমবে ।

৭. মানসিক চাপ ঘর্মগ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে । তাই নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে ।
৮. পটাশিয়াম অ্যালাম নামের এক ধরনের লবণ থেকে তৈরি মিনারেল ডিওডোরেন্ট পাওয়া যায় , যা পানিতে ভিজিয়ে বগলে ডলে লাগালে ভালো কাজ দেয় ।

৯. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে । পানি আপনাকে দেহের ভেতর থেকে পরিষ্কার করবে । এর ফলে ত্বকের ভেতরের ও বাইরের ব্যাকটেরিয়াগুলো দূর হয়ে যায় ।

১০. বেকিং সোডা বহু বছর থেকেই বাজে গন্ধ দূর করতে ব্যবহার হয়ে আসছে । গোসলের পর সামান্য বেকিং সোডা হাতে নিয়ে বগলে লাগালে দুর্গন্ধ আয়ত্বে রাখা যাবে ।

১১. অনেকে ঘাম কমাতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে থাকে । এসব পাউডার ঘাম শুষে নিয়ে ত্বকে শুষ্কতা প্রদান করে । তবে এসব পাউডার ব্যবহার করার আগে দেখতে হবে তার PH লেভেল ঠিক আছে কিনা ।

১২. বাজারে প্রচলিত ঘামনিরোধক স্প্রে বা রোল অন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে । কারণ এসবে নানা ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যাল এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর অ্যালুমিনিয়াম থাকে ।

১৩. কোনো বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি , চুলকানি বা ফুসকুড়ি ওঠে তাহলে তা সাথে সাথে ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে হবে ।

ঘাম শরীরের জন্য উপকারী একটি জিনিস । কারণ ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থগুলো বের হয়ে যায় । তাই ঘাম বন্ধ করতে চাওয়া মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় । নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই পারে আপনার শরীরকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে ।

প্রতিক্ষণ/এডি/এআই

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G