ঘুরে আসুন বাংলার তাজমহল

প্রকাশঃ জুলাই ১১, ২০১৫ সময়ঃ ৩:৩৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০২ পূর্বাহ্ণ

জহির উদ্দিন মিশু

Tazmoholপৃথিবীজুড়ে প্রেমের প্রতীক হিসেবে পর্যটকদের কাছে এক অনন্য দর্শনীয় স্থান তাজমহল। তাজমহলের সামনে দাঁড়ালে,নিজের অজান্তেই দু’চোখের পাতা ভিজে যায়। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে অপলক দৃষ্টি। যার কোন উপমা নেই। উৎপ্রেক্ষা নেই, নেই চিত্রকল্প। যার খ্যাতি শুধু বিশ্বজোড়া। আর প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে সম্রাট শাহজাহান তৈরি করেছিলেন সেই বিখ্যাত তাজমহল। আগ্রার ওই তাজমহলের অনুকরণে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের পেরাব এলাকায় বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার আহসান উল্লাহ মনি নির্মাণ করেছেন ‘বাংলার তাজমহল’।

দিগন্ত বিস্তৃত অনাবিল সবুজের সমারোহ, নাম না জানা হাজারো পাখির কিচিরমিচির করা বিকেল । সব মিলিয়ে এক স্বপ্নময় রাজ্যে বিচরণের অপার সম্ভাবনাময় উপাদান নিয়ে সাংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে বাংলার তাজমহল। বন্ধুরা মিলে বাংলার তাজমহল ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য তাজমহলের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করা হয়েছে ১৭২টি কৃত্রিম ডায়মন্ড যা বেলজিয়াম থেকে আনা হয়েছে। তাজমহলটি তৈরিতে বিদেশি উপকরণ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমে একজন দক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে এর মাপ এনে পরবর্তী সময়ে ভারত থেকে স্থাপত্য শিল্পের ওপর দক্ষ ছয়জন টেকনিশিয়ান দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।tajmahal_bangladesh_bengalinew24_33504

বাংলার তাজমহলকে আগ্রার তাজমহলের অনুরূপ করতে আগ্রায় যেতে হয়েছে সাতবার। তাজমহলের প্রবেশের আগে অপূর্ব ১০টি ঝর্না রয়েছে। বন্ধু রূপন প্রথমে ঝর্নার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নিলো। তারপর আমরা এক এক করে সবাই ঝরনার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম ছবি তোলার জন্য। বিশ্ব বিখ্যাত তাজমহল দেখার সাধ জাগলেও সাধ্য না থাকায় দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তাই আমাদের মনে হলো আমরা বসে আছি আগ্রার তাজমহলে। দক্ষিণে তাজমহল, দু’পাশে নিরিবিলি বসার স্থান ও উত্তরে প্রবেশ পথ। তাজমহলের ভেতরে ‘রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও’ সেখানে ইচ্ছে করলে আপনি বিভিন্ন স্টাইলে আর্জেন্ট ছবি তুলতে পারবেন। এদেশের সিংহভাগ মানুষের ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ভারতের আগ্রার তাজমহল দেখার সুযোগ হয়ে উঠে না। কিন্তু বাংলার তাজমহলটি মাত্র ৫০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে দেখে অন্তত দর্শনার্থীরা আগ্রার তাজমহলের ধারণা পাবেন।muhibb_1232961639_1-DSC07858

তাজমহলটিকে ঘিরে বিভিন্ন হোটেল, খাবার দোকান, শৌখিন জিনিসপত্রের দোকান, আবাসিক ভবন ও পিকনিট স্পটসহ বেশ কিছু অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। যা স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটনের ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হয়েছে। বাংলার তাজমহলের রূপ-মাধুর্য্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

কীভাবে যাবেন:

ঢাকা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে বাংলার তাজমহলে খুব সহজেই যাওয়া যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লা, দাউদকান্দি অথবা সোনারগাঁগামী যেকোনো গাড়িতে চড়ে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয়। সেক্ষেত্রে ভাড়া লাগে ১৫ টাকা। সেখান থেকে সিএনজি বা স্কুটারে জনপ্রতি ২৫ টাকা ভাড়ায় সহজে যাওয়া যায় তাজমহলে। অন্যভাবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জগামী যেকোনো গাড়িতে চড়ে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয়, সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে ২০ টাকা। এখান থেকে সিএনজি স্কুটারে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে যেতে পারেন তাজমহলে।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G