চট্টগ্রামে ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা
চট্টগ্রাম জেলা রেলওয়ে পুলিশ ট্রেনে কাটা পড়ে দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছে।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু হয় সোমবার সকাল ১০টা থেকে। মিরসরাইয়ের চিনকি আস্তানা পর্যন্ত এ প্রচারণা চালানো হয়।
ওসি এসএম শহিদুল ইসলাম বলেন, রেললাইনের ২০ ফুট এলাকায় সবসময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। রেললাইনের ওপর বসা, দোকান বসানো, খেলাধুলা করা কিংবা রেললাইন দিয়ে চলাচল, টিনএজারদের মোবাইল ব্যবহার করে রেললাইন দিয়ে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। জনগণ সচেতন হলে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহতের সংখ্যা কমে যাবে। জনগণকে সচেতন করতে আমরা মাসব্যাপী এ প্রচারণা চালিয়ে যাব।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, জনসচেতনতা বাড়লে ও যাত্রীসাধারণ সচেতন হলে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহতের সংখ্যা অর্ধেক কমে যাবে। ট্রেন ভ্রমণে ও রেললাইনে চলাচলে যাত্রী সাধারণের এমন মৃত্যু কাম্য নয়। তিনি চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ, স্টেশন মাস্টার মাহবুবুল আলম, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সিআই মজিবুল হক, বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী, মহানগর কমিটির সদস্য বাচ্চু বড়ুয়া, রেলওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সমর বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রতিক্ষণ/এডি/মান