টস জিতে কেন আগে বল হাতে নিলেন তা অধিনায়ক লিটন কুমার দাসই ভাল বলতে পারবেন। চট্টগ্রামের উইকেট তো আগের মতো নেই। সেটা জেনে বুঝে ব্যাটিং স্বর্গ হতে পারে এমন সম্ভাবনা থাকার পরও আগে বল করার খেসারত দিল বাংলাদেশ, ভারতের স্কোর ৪০৯/৮। যা বিশ্ব ক্রিকেটে ২২তম ঘটনা। এর আগে ২১ বার ৪ শত রানে কোটা পেরিয়েছে ৫০ ওভারের ম্যাচে। ২২তম ইতিহাসটা হলো চট্টগ্রামের বাংলাদেশের বিপক্ষে।
মুলত ওপেনার কিষাণের ঝড়ে টাইগার বোলিং সাগরিকার পাশে থাকা বঙ্গপো সাগলে গিয়ে পড়েছে। দলীয় ১৫ রানের মাথায় ওপেনার শেখরকে ফেরালেন স্পিনার মিরাজ। এরপর অপর ওপোর কিষাণের সঙ্গী হলেন বিশ্ব সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহেলী।
দলীয় রান ১৫ থেকে ২য় উইকেটে জুটিতে ভারত ২৯০ রান উপহার পেয়ে যায়। অথচ ১৯.২ ওভারে কিষাণের ক্যাচ হাফ চান্স হাতে নিয়ে রাখতে পারলেন না মাটিতে পড়ে যাওয়া সাকিব আল হাসান।
এরপর তো কিষাণ ঝড়ের গল্পে এগিয়ে চলা। ২০ ওভারে ১২৭/১, সেখান থেকে ২৪৬/১ ৩০ ওভারে, কোহেলী ৫৯ আর ১১৪ বলে কিষাণ ১৭৯ রানে! মিরাজ, সাকিব, এবাদত কেউ পারেনি কিষাণ ঝড় থামাতে। ১২৬ বলে ২০০ রান করলেন ২৩টি বাউন্ডারি আর ৯টি ছক্কা দিয়ে।
অবশেষে বিশাল ছক্কা মারতে গিয়ে তাসকিনের বলে লিটনের হাতে সীমায় ধরা পড়লেন কিষাণ। তখন ভারত ৩৫.৫ ওভারে ৩০৫/২। একই পথে হাটলেন কোহেলী, ক্যারিয়ারের ৪৪তম ওডিআই সেঞ্চুরি করেই থামলেন না। ৪র্থ জুটিতে নামা রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে এগুতে চেষ্টা থামালেন সাকিব।
৯০ বলে ১১টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্ক দিয়ে ১১৩ রানে ক্যাচ দিলেন কোহেলী ৪৪তম সেঞ্চুরির পর। এর ৫০ ওভার অবদি ভারত ইনিংস শেষ করে ৪০৯/৮।