চম্পা হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুর জেলার কাশিমাবাদ গ্রামের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকিয়া আক্তার চম্পাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চারজনকে পৃথক দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামি শামিম মণ্ডল, বাবুল হোসেন, জাহিদুল হাসান ও আকাশ মণ্ডলকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর আসামি মৌসুমীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় বাবুল হোসেন ও আকাশ মণ্ডল পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর চম্পাকে তার আত্মীয় পপির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে আসামিরা ডেকে নিয়ে যায়। চম্পাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর ১৪ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৬টায় কাশিমাবাদ গ্রামের সোহরাব শেখের মেহগনি বাগানে ঝুলস্ত অবস্থায় চম্পার লাশ পাওয়া যায়। আসামি শামীম মণ্ডল চম্পাকে বিয়ে করতে না পেরে তার সহযোগীদের সহায়তায় ধর্ষণের পর হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে বলে আসামি বাবুল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।
এ ঘটনায় চম্পার ভাই মো. হাসিবুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এআরকে