চসিক নির্বাচন স্থগিতসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন
কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাজনৈতিক ঐক্য ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিতসহ ১১ দফা প্রস্তাবনা জানিয়েছে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তর মানবাধিকার সংস্থা ‘সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস নামক মরণব্যাধী সংক্রমণ হতে বাংলাদেশের জনগণকে সচেতন করতে সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি আরো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানিয়েছে এই সংগঠন।
ইতালির মতো অবহেলা করলে বাংলাদেশকে একই ভুলের মাসুল গুণতে হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সার্ক মানবাধিকারের মহাসচিব। তিনি বলেন, সচেতন না হলে কিছুতেই ঠেকানো যাবে না মৃত্যুর মিছিল। সেকারণে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী নিমোক্ত গুরুত্বপূর্ণ ১১টি প্রস্তাব দিয়ে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
প্রস্তাবনাসমূহ হলো:- ১। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগতি ঘোষণা করা ২। বৃহত্তম গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা ৩। পর্যটন স্পর্টগুলো বন্ধ ঘোষণা করা ৪। বৃহত্তম শপিং মলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা ৫। পাবলিক বাস সীমিত করা ৬। কোরোনা সনাক্তকরণ কীট জরুরী ভিত্তিতে আমদানী করা ৭। কোরোনা ভাইরাসের কারণে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর হাত হতে আগামী রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখার স্বার্থে জেলা, উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পর্যাপ্ত বাজার মনিটরিং সেল গঠন করে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা ৮। মাস্ক ও হ্যান্ডওয়াশ সরকারীভাবে ন্যায্যমূল্যে ও দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা করা ৯। বিদেশ থেকে আগত প্রবাসীদের সরকারী নিয়ন্ত্রণে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা ১০। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে তাদেরকে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারা কঠোর মনিটরিং-এ রাখার ব্যবস্থা করা ১১। হোম কোয়ারেন্টাইনে আদেশ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও উক্ত পরিবারের সকল সদস্যদের এবং এলাকাবাসিদের নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চলা।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী আরো বলেন উপরোক্ত প্রস্তাবনাগুলো সরকার দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করলে দেশ মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সরকার একার পক্ষে এই সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এজন্য সকল বিভেদ ভুলে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক ঐক্যগঠন ও সামাজিক সংগঠন সমূহের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরী।