চিঠি পাঠাতে যেতে হয় পানির নিচে
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
জাপানের ওয়াকায়ামা অঞ্চলে ১৭৪ দশমিক ৭১ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত সুসামি শহর। প্রায় পাঁচ হাজার জনগোষ্ঠির এই শহরটিতে রয়েছে এমন একটি মেইলবক্স, যা চিঠি আদান-প্রদানের জন্য স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সুসামি উপসাগরে পানির ১০ মিটার নিচে এই মেইলবক্সটির অবস্থান। সাগরের পানিতে স্কুবা ডাইভিং করে অনেকেই তাদের চিঠিটি শখ করেই রেখে আসেন এখানে। প্রতি বছরপ্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ মেইল জমা হয় । কেউ তার পরিবারের সদস্যদের জন্য কিংবা প্রিয়জনদের উদ্দেশে এই মেইলগুলো পোস্ট করে থাকে।
পানির নিচের পোস্টবক্সের মেইলগুলো লেখা হয় ওয়াটারপ্রুফ কার্ডে বিশেষ ধরনের অয়েল মার্কারের সাহায্যে। ওয়াটারপ্র“ফ ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে পোস্টকার্ডে বিশেষ ধরনের স্ট্যাম্প লাগিয়ে অদ্ভূত এই মেইলবক্সটিতে চিঠি পোস্ট করে থাকেন ব্যবহারকারীরা। ইয়ামাতানি ডাইভ শপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা কয়েক দিন পরপর পানির নিচ থেকে চিঠিগুলো সংগ্রহ করে স্থানীয় পোস্ট অফিসে দিয়ে আসেন।
অদ্ভুত এই মেইলবক্সটি প্রতি ছয় মাস পর পর নতুনভাবে গঠন করা হয। আর এক বছর পরপর পরিবর্তন করা হয়। যেনো সারা বছরই এটি নতুন আর ঝকঝকে দেখায়।
জানা গেছে, সুসামি এলাকায় অবস্থিত ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ প্রাচীন কুমানো কোদো তীর্থস্থানের পক্ষে প্রচারের অংশ হিসেবেই ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে এ ডাকবাক্সটি স্থাপনের পরামর্শ দেন স্থানীয় পোস্টমাস্টার তোশিহিকো মাতসুমোতো। এর পরই সুসামি উপসাগরের নিচে এ ডাকবাক্সটি স্থাপন করে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর থেকেই এটি স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। পৃথিবীর গভীরতম এলাকায় অবস্থিত হিসেবে ২০১২ সালে এ মেইলবক্সটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস.আর.এস