চিন্তিত নতুন নয় ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া নয়টি ব্যাংকের হতাশা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
একদিকে বেশী সুদে আমানত সংগ্রহ অন্যদিকে কাঙ্খিত বিনিয়োগ না হওয়ায় দিশেহারা ব্যাংক মালিকপক্ষ।
তারা মনে করছেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে বিনিয়োগ মন্দা ও দক্ষ জনবলের অভাবে নতুন ব্যাংকগুলো বেশি অনাস্থা আর সংকটে পড়েছে।
নতুন ব্যাংকগুলোকে আরো গতিশীল ও প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে নানাভাবে পরামর্শ ও সহায়তা দিতে বিশেষ চিন্তা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকগুলো হল- ফার্মার্স ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক।
রোববার সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান নতুন নয়টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে ব্যাংকগুলোর জন্য কঠোর নির্দেশনা দেন গভর্নর।
জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি ব্যাংক খেলাপিতেও পড়েছে। নতুন ব্যাংকগুলোর অধিকাংশকেই নিয়ম অমান্য করার দায়ে জরিমানা গুনতে হয়েছে। এখনো কয়েকটির জরিমানা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কৃষিঋণ বিতরণ, বিদেশি বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্স আহরণেও পিছিয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও নয় ব্যাংকের মধ্যে তিন-চারটি ব্যাংকে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে বলে অভিয়োগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রোববারের বৈঠকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী অর্থায়নের বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা কৃষি, এসএমই ও রেমিট্যান্স আহরণের ওপর জোর দেওয়া হবে।
যেকোনো ধরনের আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ে না গিয়ে নতুন ব্যাংক যাতে নিয়মের মধ্যে থেকে ঋণ বিতরণ করে, সেজন্য তাদের অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে পরিপালনের নির্দেশনা দেবেন গভর্নর।
তবে ব্যাংকের এ বেহাল দশা থাকলেও কোন কোনো নীতি নির্ধারক মনে করেন, গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতা আর সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে নতুন ব্যাংকগুলো তুলনামূলক ভালোই করছে। তবে যতটা ভালো হওয়ার কথা ছিলো তা করতে পারেনি। তবে তারা নতুন ব্যাংকের ব্যাপারে আশাবাদী।
প্রতিক্ষণ/এডি/নূর