চিরিরবন্দরের ওসি ও এসআইের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশঃ মার্চ ১৬, ২০১৬ সময়ঃ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৪৮ অপরাহ্ণ

মোহাম্মদ মানিক হোসেন (দিনাজপুর প্রতিনিধি)

dinajpurদিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার ওসি ও এসআই এর বেপরোয়া কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর সুকদেবপুর হাসপাতালপাড়ার মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল কোরানীরপুত্র ও ৪নং ইসবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জহুরুল ইসলাম গুচ্ছ গ্রামের পাশে খাস খতিয়ান ভুক্ত ১১৫৬ দাগের ৬ শতাংশ জমিতে বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল বিন্যাকুড়ী এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রসার হাফেজ নুরুল ইসলাম উক্ত জমি সরকারের নিকট কবুলিয়াত নিয়েছেন বলে দাবী করেন।

পরবর্তীতে জহুরুল ঐ কবুলিয়াত বাতিলের জন্য চিরিরবন্দর সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নিকট আবেদন করেন। আবেদনের কথা জানতে পেরে প্রভাবশালী নূরল তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে বিতাড়িত করাসহ নানা ধরনের হুমকি-ধামকি ও তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ ও এসআই শরিফকে ম্যানেজ করে তার বিরুদ্ধে এন জিআর ৭৭/১৪, জিআর ৬৩/১৫ চাঁদাবাজি মামলাসহ ১৯৮/১৫ নং মামলা আনয়ন করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

মামলা হতে জামিন লাভ করলে পুনরায় নুরুল বর্তমান ওসি আনিছুর রহমান ও এসআই শরিফকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে গত ১১ মার্চ শুক্রবার মধ্যরাতে ওসি ও এসআই শরীফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জহুরুলের বাড়িতে হামলা চালায়। জহুরুল বাড়িতে অবস্থান না করার কারণ জানতে চাইলে তার স্ত্রী জানায় যে, সে পুকুরে মাছ পাহারা দিতে গেছে। বলা মাত্র ওসি ও এসআই ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবলদের বাড়ীঘর ভেঙ্গে দেয়ার নির্দেশ দিলে তৎক্ষণাত কর্তব্যরত কনস্টেবল বাড়ীর বেড়া ও সিমেন্টের পিলার ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তার স্ত্রী বাধা দিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় ও বাড়িঘর ছাড়ার হুমকি ও তার স্বামীকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে সারাজীবন জেলহাজতে পচানোর হুমকি দেয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল জাকির জানান, বিষয়টি তদন্তনাধীন থাকায় আপাতত কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না।

চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কখনোই তার বাড়ীতে যাইনি। তবে ঐ তারিখে এসআই শরিফের অনুরোধে এসআই আতোয়ার হোসেন তার বাড়ীতে গিয়েছিল। জহুরুল চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলায় জড়িত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন সময় তার বাড়ীতে গেলেও গত ১১ মার্চ রাতের ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা। অনেকে অন্যায়ভাবে আমাকে ব্যবহার করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

#লাইক ও শেয়ার দিয়ে প্রতিক্ষণের সাথে থাকুন।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G