চীনে ওমিক্রনের নতুন সংষ্করণ, তথ্য গোপন না করতে হু সতর্ক করলেন চীনকে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রায় ৩ বছর ধরে করোনা মহামারিতে ভুগছে গোটা পৃথিবী। ৪০ কোটির উপরে সংক্রমণ। প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের। এখনও জানা নেই, কবে শেষ হবে অতিমারি। এ অবস্থায় আমেরিকা-ইউরোপের দেশগুলি আগেই ঘোষণা করেছে— করোনা সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে। এই যুক্তিতে করোনা-বিধি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা।
কিন্তু হু বারবারই বলছে, করোনাভাইরাসের আরও ভয়ানক এবং সংক্রামক রূপ তৈরি হতে পারে ভবিষ্যতে। ফলে সতর্ক থাকতে হবে। শুধু তা-ই নয়, বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্যকর্তাদের জন্য আরও কঠিন সময় আসতে পারে বলেও জানিয়েছে হু। এর কারণ কিছু দিন পর পর চীনে নতুন নতুন করোনার সংস্করণ আবির্ভাব।
বছরের শেষ ভাবে নতুন করে চীনে ওমিক্রনের নতুন সংস্করণ উপস্থিত হয়েছে। এ নিয়েই মুখ খুলেছেন হু।
চীন জুড়ে করোনাভাইরাসের এই নতুন উপরূপের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। পাশাপাশি সংস্থার আশঙ্কা, করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করতে পারে শি জিনপিংয়ের দেশ। হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আশা করছি, চিন এ সংক্রান্ত তথ্য দেবে এবং আমাদের সুপারিশগুলি পর্যালোচনা করে দেখবে।’’
কোভিড সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে অনেক তথ্যই এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি বলে জানান টেড্রস।
প্রসঙ্গত, চীনে মহামারি-পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব সামান্য তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। উহানে চীনের র সরকারি পরীক্ষাগারের নোভেল করোনাভাইরাস তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠলেও চীন বরাবরই তা অস্বীকার করে এসেছে। এ সংক্রান্ত তথ্যও তারা প্রকাশ্যে আনেনি বলে অভিযোগ পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের একাংশের। ভাইরাস বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই শীতে তিনটি কোভিড-ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে চীনে।
করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ ওমিক্রন বিএফ.৭-এর কারণেই চীন জুড়ে শুরু হয়েছে নয়া সংক্রমণ-পর্ব। এই পরিস্থিতিতে টেড্রস জানিয়েছেন, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর টিকাকরণের কাজ শেষ করার জন্য তাঁরা বেজিংকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা পালনের বিষয়েও বেজিংয়ের কাছে আবেদন জানান তিনি।
সূত্র : আল-জাজিরা