চীন তাইওয়ানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, চীন তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ‘শক্তি প্রয়োগ’ করার সম্ভাবনা সহ তাইওয়ানের উপর চাপ প্রয়োগ করেছে। চীন তাইওয়ানের মর্যাদা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি মোকাবেলায় ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে কয়েক দশকের পুরানো নিয়ম গুলো পরিবর্তন করেছে। এখন শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিচ্ছে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, চার দশক ধরে চলে আসা পুরানো নিয়ম গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতির অধীনে বেইজিংকে সমান স্তরে রেখেছে। তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষার জন্য মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ করেছে না, এ শর্ত “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে সংঘর্ষ হবে না তা নিশ্চিত করেছিল।
কিন্তু ২০২২ সালে পরিবর্তনের কারণে বেইজিংয়ের সরকার সিদ্ধান্ত নেয় সেই নিয়ম গুলো আর গ্রহণযোগ্য নয়। মার্কিন-চীনের সম্পর্কে মৌলিক পরিবর্তিত হয়েছে- ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন।”
ওয়াশিংটন একটি “ঠান্ডা যুদ্ধ” চায় না এবং চীনকে সংযত করার চেষ্টা করছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় থাকবে। এ কথাও ব্লিঙ্কেন বলেছেন। গাড়ি, যন্ত্রপাতি এবং ভোক্তা ইলেকট্রনিক্সের জন্য অত্যাবশ্যক উন্নত সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে তাইওয়ান এবং এর অর্থনীতি বিশ্বে প্রভাবশালী। যা পুরো বিশ্বশক্তি বা সমগ্র বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত, তিনি যোগ করেছেন।
“যদি এটি কোনও কারণে ব্যাহত হয় তবে এটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গভীরভাবে গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি ঘটাবে।”-ব্লিঙ্কেন সর্তক করে দিয়েছেন।
সূত্র : আলজাজিরা