চোখের সাজের আদ্যোপান্ত
হাসি-কান্না কিংবা রাগ- মানুষের যেকোনো সংবেদনশীলতার প্রকাশে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় চোখের চারপাশের ত্বক। কখনো এতে ধরে কুঞ্চন, তো কখনো ঘটে প্রসারণ। আবেগ সামাল দিতে দিতে একসময় নানান সমস্যা ভর করে চোখের চারপাশজুড়ে। মেকআপের পরতে যা মুছে ফেলা যায় অনায়াসেই।
মেকআপের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ত্বক অনুযায়ী সঠিক শেডের মেকআপ সামগ্রী বেছে নেয়া। নিজেকে সাজিয়ে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
এক্ষেত্রে , চোখের মেকআপ’ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের সবার চোখের শেপ এক নয়। চোখের শেপ যদি আলাদা হয়, তাহলে চোখের মেকআপও আলাদা হবে।
চোখের মেকআপ আপনার চেহারায় পরিবর্তন আনে। তবে চোখের মেকআপের সঙ্গে, চেহারার বাকি সাজ ন্যূনতম রাখা যেতে পারে। আসুন দেখা যাক, চোখের সাজের আদ্যোপান্ত:
* বাদামী এবং গোলাপী শেডের চোখের মেকআপ খুব সূক্ষ্ম এবং উৎকৃষ্ট মানের পরিচয় দেয়। হালকা গোলাপী, সাদামাটা চোখের মেকআপে একটা আলাদা মাত্রা এনে দেয়। এর সঙ্গে গাঢ় প্লাম লিপস্টিক পরা যেতে পারে।
* নিউট্রাল শেডের সঙ্গে ডানার মতো আইলাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। গোল্ডেন আইশ্যাডোটি যেটা নিচের চোখের পাতার কাছে ব্যবহার করা যেতে পারে, একটা আলাদা চমক এনে দেয় বাদবাকি সাদামাটা চেহারায়।
* বেগুনি, রুপালি এবং তামাটে শেডস দারুন কার্যকরী হয় যখন একত্রে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়। চোখের ওপরের পাতায় একটু পুরু করে আইলাইনারের ছোঁয়া এবং মাসকারার অনেকগুলি পোঁচের এই মেকআপ আপনাকে অনন্য করে তুলবেই।
* সোনালী রঙের আইশ্যাডোর ব্যবহার এই রূপের প্রধান আকর্ষণ। এতে চোখ বড় দেখায় এবং এর সঙ্গে কোনো উজ্জ্বল লিপস্টিক, বিশেষভাবে উজ্জ্বল লাল তরল ম্যাট লিপস্টিক সত্যিই ভাল লাগে।
* সূক্ষ রোজ গোল্ড আইশ্যাডোর সঙ্গে নিউট্রাল উপাদান ব্যবহার আপনাকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
* সমগ্র রোজ গোল্ড উপাদান, একে হ্যালো আইশ্যাডো বলা হয়ে থাকে। গাঢ় গোলাপি শেড ও গাঢ় সোনালী শেডের আইশ্যাডো ব্যবহার করা হয়েছে।
* আপনি সত্যিই যদি সাহসী হতে চান, তাহলে এই উজ্জ্বল লাল আইশ্যাডো চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার লিপস্টিকের রং হালকা রাখতে ভুলবেন না, নাহলে আপনার মেকআপ রুচিহীনতার পরিচয় দিতে পারে।
* শ্যাম্পেন গোলাপী আইশ্যাডো যার মধ্যেখানে কিছু গ্লিটারের ছোঁয়া অপরূপ করে তোলে। এটি যে কোনো রঙের সুটের সঙ্গে ভালো দেখায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন