ছাত্রী উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়া সেই প্রতিবাদকারীর মৃত্যু
মেহেদী হাসান আবদুল্লাহ, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় আহত ব্যবসায়ী মো. মতিউর রহমান টানা দুই সপ্তাহ অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগের পর অবশেষে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) পুলিশ বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
ব্যবসায়ীর বড় ভাই আবদুল মোতালেব (৭০) জানান, তাদের আত্মীয়ের এক স্কুলছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত কিছু বখাটে। তার ছোট ভাই এর প্রতিবাদ করায় তার ওপর বখাটেরা হামলা চালিয়েছিল।
স্বজনেরা জানান, ব্যবসায়ী মতিউরের ছেলে হারুন অর রশিদের শ্বশুরবাড়ি পাশের বিষ্ণুপুর গ্রামে। শ্বশুরপক্ষের এক স্কুলছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত শামীম ও শহীদ নামের স্থানীয় দুই যুবক। উত্ত্যক্তের শিকার ছাত্রী ঘটনাটি হারুনকে জানালে তিনি কয়েকবার ঐ যুবকদের সতর্ক করেন। কিন্তু তারা উত্ত্যক্ত করা থামায়নি। পরে হারুন ঘটনাটি তার বাবা ও চাচাদের জানান।
এরপর গত ঈদের পরদিন (২৭ জুন) মতিউর রহমান ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বের হন। কাছেই তেলুয়ারি মসজিদের কাছে পৌঁছালে শামীম ও শহীদের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা করে। মতিউর মাথা ও শরীরের অন্যান্য স্থানে গুরুতর জখম হয়ে সড়কে পড়ে থাকেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা উদ্ধার করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন। এরপর গতকাল হঠাৎ মারা যান তিনি।
রায়ের বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার আল মামুন বলেন, হামলার পর শামীম, শহীদসহ নয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন হারুন। সাত আসামি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। শামীম ও শহীদ এখনো আদালতে হাজির হননি। তিনি বলেন, আহত মতিউর মারা যাওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়িগুলো তালাবদ্ধ দেখা গেছে। তাই তাদের কোনো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ