জনগণের রায়ে নির্বাচিত আইভী
অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে জনগণের অকুষ্ঠ সমর্থনে মেয়র পদে জয়লাভ করলো আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে সাড়ে ৭৯ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে পুনরায় মেয়র পদে নির্বাচিত হলেন। পুনরায় নির্বাচিত মেয়র আইভী এ জয়কে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। আর পরাজিত সাখাওয়াত হোসেন বললেন, ‘এই ফলাফলে সূক্ষ্ম কিছু একটা হয়েছে’।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় ভোট কোনো ধরনের গন্ডগোল ছাড়াই। পৌনে পাঁচ লাখ ভোটারের মধ্যে এবার ভোট দিয়েছেন দুই লাখ ৯৬ হাজার ৩৬ জন। এবার ভোট বাতিল হয়েছে সাত হাজার ১৭১ ভোট। নির্বাচনে ৬২ দশমিক ৩৩ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। গতবার এ হার ছিলো ৬৯ শতাংশ।
১৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট, অপরদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।
মেয়র পদে আইভী ও সাখাওয়াত ছাড়াও আরো পাঁচজন লড়ছেন। এর মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল কোদাল মার্কায় পেয়েছেন ৬৭৪ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ হাতপাখা মার্কায় পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯১৪ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি ইজহারুল ইসলাম মসজিদের মিনার মার্কায় ৯১০ ভোট পেয়েছেন, এলডিপির কামাল প্রধান ছাতা মার্কায় পেয়েছেন ৪৩২ ভোট, কল্যাণ পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী রাসেল ফেরদৌস সোহেল মোল্লা হাতঘড়ি মার্কায় পেয়েছেন ৪৮০ ভোট।
এদিন মেয়র পদের পাশাপাশি নগরবাসী ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এবং নয়জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচিত করেছেন। যদিও এবার তারা তাদের দলের কাছ থেকে সমর্থন পেলেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণেই প্রতীক নিয়ে যেতে পারেননি ভোটারের কাছে। তাদের লড়তে হয়েছে নির্বাচন কমিশনের প্রতীকে। একই অবস্থা নয়টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর ক্ষেত্রেও।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ