জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে চট্টগ্রামের মানুষ
গত কয়েক ঘণ্টা ধরে টানা বর্ষণের ফলে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার মানুষজন।
আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ভারি বর্ষণে নগরজুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর ষোলশহর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, প্রবর্তক মোড়, ওয়াসা, আগ্রাবাদ, সিডিএ ও ছোটপুল এলাকার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কালবৈশাখীর কারণে বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইছে। নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্কতা সংকেত নেই। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, ভোরে টানা তিন ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৬৯ মিলিমিটার। এর আগে গভীর রাত থেকে শুরু হয় দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি।
টানা বর্ষণে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। একই সঙ্গে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
মো. ফয়সাল নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, আগ্রাবাদ এলাকার অন্যতম মার্কেট লাকি প্লাজায় পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া আগ্রাবাদ সিবিএ আবাসিক এলাকা, দাইয়াপাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘর থেকে প্রয়োজনে বের হওয়াও দায় হয়ে পড়েছে।
জসিম নামের আরকেজন ভুক্তভোগী জানান, টানা বর্ষণে বহদ্দারহাট, শোলকবহর, কাপাসকুলা এলাকায় বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে। নির্মাণাধীন আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজের কারণে মুরাদপুর এলাকায় জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী বলেন, একদিকে কর্ণফুলীর জোয়ার, আরেকদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আগের মেয়রদের অনেক ঘটনার জন্য চট্টগ্রাম শহর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০ বছর আগে বিশেষজ্ঞরা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবায়িত না হওয়ায় তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অপরিকল্পিতভাবে কাজের কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ড্রেনের ওপর স্থাপনা নির্মাণ এর অন্যতম কারণ। সিটি করপোরেশন নিজে এসব স্থাপনা নির্মাণ করে সংকট বাড়িয়েছে। আমরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছি।’
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ