প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
‘হেই মাশাআল্লাহ’খ্যাত ডায়ালগের মূল নায়ক ওসমান বে আসছেন বাংলাদেশে। এ খবর আপনারা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন। এবার ওসমান বে নিজেই তার ভেরিফাইড পেইজে জানিয়েছেন , তিনি ২৪মে বাংলাদেশে আসছেন শীর্ষস্থানীয় কনজিউমার ডিউরেবলস কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এর ট্রান্সফরমেশনের বার্তা নিয়ে।
বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় তুর্কি সিরিজ ‘কুরুলুস উসমান’ এর নায়ক বুরাকের আসার খবরে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী ভক্ত খুশিতে আত্মহারা। সেটাই দেখা গেলো সিঙ্গারের ফেইসবুক পেইজের কমেন্ট বক্সে গিয়ে। তবে একইসাথে তারা দু:খ প্রকাশ করছেন সরাসরি তাদের স্বপ্নের নায়ককে দেখতে পারবেন না বলে। অনেকে আবার অনুরোধ করেছেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ যেন সরাসরি ওসমান বে’কে এক প্রলক দেখতে পারেন; এ সুযোগটি যাতে সিঙ্গার করে দেন। তবে সেরকম কিছু ঘটবার সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র সিঙ্গার বেকো স্টোর থেকে যেকোনো পণ্য কিনে সরাসরি এই তুর্কি অভিনেতার সাথে দেখা করার সুযোগ পাবেন ভাগ্যবান বিজয়ীরা।
সিঙ্গারের আমন্ত্রণেই মূলক এই টার্কিশ সুপারস্টার বুরাক আসছেন বাংলাদেশে। বিখ্যাত এই অভিনেতা সামাজিক মাধ্যমে সিঙ্গার বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলছেন, ‘সালাম বাংলাদেশ। কেমন আছেন আপনারা? খুব শিগগিরই দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে।’
তার এই পোস্ট দেওয়ার পরপরই ভক্তদের মধ্যে বিপুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সিঙ্গার বাংলাদেশও তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি শেয়ার করেছে।
বাংলাদেশে প্রচারিত বিদেশি সিরিয়ালগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এ মুহূর্তে এগিয়ে আছে তুর্কি সিরিজগুলো। এরমধ্যে ‘কুরুলুস উসমান’অন্যতম। এ সিরিজটিতে উসমানী সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমান চরিত্রের রূপদানকারী অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিট। তিনি তুরস্কের অভিনেতা। উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে অসম্ভব জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। এর আগে বাংলাদেশী চ্যানেল দীপ্ত টিভিতে প্রথম প্রচারিত তুর্কি সিরিজ‘সুলতান সুলেইমান’সিরিজে বালিবের চরিত্রে অভিনয় করেও প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।
মূলত ‘সুলতান সুলেইমান’প্রচারের পর থেকেই বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ‘স্টার জলসা’, ‘জি টিভি’ইত্যাদি ভারতীয় চ্যানেল দেখা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেন। এমনিতেই ‘স্টার জলসা’ চ্যানেল নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে নানা ধরণের নতুন নতুন উদ্ভট সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল প্রতিনিয়তই। তাই সে সময় ব্যাপক সমালোচনার কারণে অনেকে এই চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন। তুর্কি সিরিজগুলো বাংলাদেশে অনুবাদ করে প্রচার করার পর থেকেই এ সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাচ্ছে। এখনতো রীতিমতো বাংলাদেশী চ্যানেলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগীতা চলছে কে কার আগে কোন তুর্কি সিরিজটি নিজেদের চ্যানেলে আগে প্রচার করে দেখাতে পারবে। ঐতিহাসিক এই কাহিনীগুলো প্রচারের কারণে বাংলাদেশের যুব সমাজও কিছুটা হলেও রক্ষা পাচ্ছে অম্লীল, অবান্তর ও মিথ্যায় ভরা সিরিয়ালগুলোর হাত থেকে।