জিকার ভ্যাকসিন তৈরিতে লাগবে ১০ বছর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অন্তত দশ বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা।
জিকা ভাইরাসের আক্রমণে নবজাতকের মস্তিষ্কের আকার অপেক্ষাকৃত ছোট হয়। এ কারণে শিশুদের মাঝে বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দেয় এবং কখনো কখনো মৃত্যুও হতে পারে।
ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। তবে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া সহজে বুঝাই যায় না যে, শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি রয়েছে; এটি সনাক্ত করা কঠিন। ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারে টেক্সাস ইউনির্ভাসিটির মেডিকেল ব্রাঞ্চ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটি বিভাগের পরিচালক প্রফেসর স্টক ওয়েভার বলেন, দুই বছরের মধ্যে ভাইরাসটির পরীক্ষামূলক প্রতিষেধক আবিষ্কার সম্ভব হবে। তবে তা আক্রান্তদের জন্য ব্যবহারে অনুমোদনের সময় লাগবে অন্তত আরো দশ বছর।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় লেক ভিক্টোরিয়ার কাছে জিকা বনে প্রথম একটি বানরের দেহে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলে। পরে ঐ বনের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। সাধারণত আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তবে এবার তা আমেরিকা মহাদেশে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ব্রাজিলে তা মহামারীর আকার ধারণ করেছে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক এবং ব্রিটেনেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি