জিহ্বা দিয়ে চলচিত্রের স্ক্রিপ্ট টাইপ
রাসিব মোস্তফা
জিহ্বা দিয়ে স্ক্রিপটিং? এমন কি কখনো হয় নাকি? যেখানে পেশাদার মানুষেরাই হাত দিয়ে টাইপ এর ক্ষেত্রেই হিমসিম খায় সেখানে জিহ্বা দিয়ে টাইপ এর কথা বেশ হাস্যরসের জন্ম দেবে সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে ঠিক এমনটাই ঘটেছে যা একবারেই অবিশ্বাস্য।
অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং একমাত্র নিজের প্রচেষ্টার জোড়েই এই ২৫ বছর বয়সী নারী ওয়াকোন্টা কাপুন্ডাকে কেউ দমিয়ে রাখেতে পারেনি। শত বাঁধার মুখেও তানজানিয়ার এই মেয়ে প্রমান করেছে চেষ্টায় পারে একজন মানুষকে সফল করতে।
আর সেকারণেই হয়তো গত চার বছর আগে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ার পরও তিনি চেষ্টা করে গেছেন। পেশায় চিত্রনাট্যকার হবার কারণে তার স্ক্রিপ্টগুলো তাকে জিহ্বা ব্যবহার করেই লিখতে হতো।
দুর্ঘটনার কারণে হাত-পা সব অসাড় হয়ে পড়া ওয়াকোন্টার সামনে একদিন মোবাইল ফোন বাজতে থাকলেও তিনি তা ধরতে ব্যর্থ হন। সেদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এখন থেকে তিনি মুখের সাহায্যে সব কিছু করবেন ও তার স্ক্রিপগুলোও লিখবেন।
প্রথমের দিকে থুতনি দিয়ে টাইপ করার চেষ্টা করলে তাতেও তিনি ব্যর্থ হন। পরে তার পরিবার কয়েকটি বালিশের ওপর মোবাইল রেখে দেয় ওয়াকোন্টার সুবিধার জন্য। এর পর হতে তিনি চেষ্টা করে দেখেন যে তিনি সফল হচ্ছেন।
প্রথমে জিহ্বা দিয়ে টাইপ করাটা বেশ কষ্টকর ছিল, জিহ্বা ব্যথা করতো, এবং মাথাও ঘুরাতো। কিন্তু পরে অনুশীলনের মাধ্যমে আস্তে আস্তে দক্ষ হয়েছি। এমনটাই জানা যায় ওয়াকোন্টার মাধ্যমে।
শুধু তিনিই নন। এমন কঠিন রোগে যারা প্রতিনিয়ত ভুগছেন তাঁদের সকলের মাঝেই ওয়াকোন্টা তাঁর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আশা, অনুপ্রেরণার জায়গাটিকে জাগিয়ে তুলতে চান।
https://www.youtube.com/watch?v=iPxU75gqxhU&feature=youtu.be
প্রতিক্ষণ/এডি/আরএম