জুমার দিনের আমল

প্রকাশঃ জুন ২৬, ২০১৫ সময়ঃ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:১৪ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক:

06-HeratMসপ্তাহের প্রতিটি দিনের মতোই জুমার (শুক্রবার) দিন পবিত্র। তবে এই দিনের ইবাদত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের থেকে বেশি সওয়াবের। তাই পবিত্র এই দিনের কিছু প্রয়োজনীয় আমল রয়েছে যা সবার জেনে রাখা উচিৎ। আর রমজানের জুমার নামাজে এসব আমলে সওয়াব অনেক বেশি।

জুমার দিনের আমল:

১। জুমার দিন গোসল করা। যাদের উপর ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুল (সা.) ওয়াজিব বলেছেন।

২। জুমার নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা।

৩। মিস্ওয়াক করা।

৪। উত্তম পোশাক পরিধান করে সাধ্যমতো সাজসজ্জা করা।

৫। মুসল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা।

৬। মনোযোগ সহকারে খুত্‍বা শোনা এবং খুত্‍বা চলাকালীন চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব।

৭। আগে থেকেই মসজিদে যাওয়া।

৮। সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।

৯। জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করা।

১০। নিজের সবকিছু চেয়ে এ দিন বেশি বেশি দোয়া করা।

১১। কেউ মসজিদে কথা বললে ‘চুপ করুন‘ এতোটুকুও না বলা।

১২। মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা।

১৩। খুত্‍বার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। কোনো ব্যক্তি যদি জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হয়, কিন্তু ইচ্ছা করেই জুমার নামাজে ইমাম থেকে দূরে বসে, তবে সে দেরিতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৪। এতোটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া, যাতে অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।

জুমার এই পবিত্র দিনে আসুন আমরা সবাই আল্লাহ্ তাআলার কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো দুআ পাঠের মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও ‘জান্নাতুল ফিরদাউস’ লাভের জন্য দোয়া করি।

(আল্লা-হুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিন্ আযা-বি জাহান্নাম)
অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি চাই।

(আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্আলুকা জান্নাতাল ফিরদাউস)
অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট ‘জান্নাতুল ফিরদাউস’ প্রার্থনা করছি।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/নূর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G