জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাচ্ছেন?

প্রকাশঃ এপ্রিল ২৭, ২০১৫ সময়ঃ ১:১৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

paracitamolআবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এই সময়ই ‘দাঁত-নখ’ বের করে ভাইরাসরা। একটু অসচেতন হলেই ব্যাস! জ্বর নিয়ে বিছানায়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময়টা তো আরো চিন্তার। শিশু বয়সে এমনিতেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে । আর ‘সিজন চেঞ্জ’-এর সময় একটু এদিক ওদিক হলেই, জ্বর, সর্দি, মাথা যন্ত্রণা।

শিশু জ্বর বা সর্দি, কাশিতে কষ্ট পেলে, ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্যও অনেক সময় তর সয় না মা-বাবাদের। নিজেরাই কোনো ট্যাবলেট বা সিরাপ খাইয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাটা সেরে ফেলেন।

বিশ্বব্যাপী জ্বরের সময় সবচেয়ে কার্যকর ও সুরক্ষিত ওষুধ হিসেবে প্যারাসিটামলই সবচেয়ে বেশি সমাদৃত। কিন্তু গবেষণা বলছে, প্যারাসিটামল শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। এমনকি গর্ভস্থ ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশেও ভয়াবহ ভূমিকা নিতে পারে প্যারাসিটামল।

ভারতের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানায় জি নিউজ। তাতে বলা হয়, ব্যাথা ও জ্বরের জন্য ব্যবহৃত প্যারাসিটামল ১০ দিন বয়সী কিছু ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করেন। গবেষকরা তাতে দেখতে পান, প্যারাসিটামল খাওয়ানোর পর পরিণত বয়সের এই ইঁদুরগুলোর মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। এমনকি একপর্যায়ে ইঁদুরগুলোর স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পেতে থাকে।

গবেষকরা দাবি করেছেন, শিশু বা ভ্রূণ অবস্থায় মস্তিষ্কের বিকাশের সময় প্যারাসিটামলের প্রয়োগ মস্তিষ্কের পরিণত হওয়ার পথে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর প্রভাবও সুদূর প্রসারী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তারা বলছেন, শিশু বয়সে প্যারাসিটামল খাওয়ার ফলে ঘটে যাওয়া বিরূপ প্রভাব প্রাপ্তবয়সেও থেকে যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে মানসিক শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা কম হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবলভাবে থাকে প্যারাসিটামলে।

ভারতের ওই গবেষকরা অনুরোধ করে বলেছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল প্রয়োগের ব্যাপারে বাবা-মাকে বেশ সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনাভাবেই প্যারাসিটামল গ্রহণ না করার জন্য বাবা মা ও অভিভাবকদের প্রতি তারা অনুরোধ জানিয়েছেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G