ক্রীড়া ডেস্ক
কাতার বিশ্বকাপে ৫ বারের শিরোপা জেতা ব্রাজিল ততো ধারালো ফুটবল এখনও খেলতে পারিনি ঠিকই। কিন্তু টানা ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট জমা করে বিশ্বকাপের শেষ ১৬-তে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে। আরেক সুপার পাওয়া সুইজারল্যান্ডকে রাতের ম্যাচে ১-০ গোলে পরাজিত করে দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করেছে হলুদ জার্সিধাররিরা। যদিও দলে ছিলেন না মুল তারকা নেইমার। এই তারকার অভাব সেভাবে বুঝতে দেয়নি পুরো ব্রাজিল দল। অপর দিকে সুইজারল্যান্ডকে শেষ ম্যাচে জয় তুলতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই ইউরোপের এই দলটি সামনে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ফেভারিটের মতো খেললেও ব্রাজিল গোল আদায়ের মতো ধারালো আক্রমণ সাঁনাতে ব্যর্থ ছিল। সুইজারল্যান্ড ল্যাতিন আমেরিকার ফুটবলকে বরাবরই চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসছে মাঠে। ব্রাজিল কাতার ২০২২ এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে অপরাজিত থেকেই। বিশ্বকাপের আসরে রেকর্ড পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে।
অপর দিকে গত চার বিশ্বকাপের তিনটিতেই নকআউট পর্বে উঠেছে সুইজারল্যান্ড। ব্রাজিল ১৯৩০ সাল থেকে প্রতিটি বিশ্বকাপ খেলেছে। কিন্তু ২০০২ সালের পর থেকে তারা ফাইনালে উঠতে পারেনি। বাছাইপর্বের খেলায় অপরাজিত ছিল সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নয়টি ম্যাচে ব্রাজিল তিনটি জিতেছে, চারটিতে ড্র করেছে এবং দুটিতে হেরেছে। সে কারণেই আজ ম্যাচটা ছিল হাই-ভোল্টেজের।
সেই ব্রাজিল আজ কাতারের মাঠে প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট গোল শূণ্য থেকে মাঠ ছেড়ে যায়। ৪৫ মিনিটে ২টি মাত্র কর্নার আদায় করতে পেরেছিল। তাতেও লাভ আদায় করতে দেয়নি সুইজারল্যান্ড। ব্রাজিলের আক্রমণ বলা মতো একটাই ছিল ১৭ মিনিট। ফাঁকা পোষ্টে সুইস গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল বাইরে পাঠালো ব্রাজিলের আক্রমণ ভাগে খেলোয়াড়।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল গোলের চেস্টা করলেও উল্টো চেপে ধরার চেষ্টা বিফল করে দেয় ব্রাজিলী ডিফেন্স। খুব বেশি সময় সুইজারল্যান্ড আক্রমণে চাপ ধরে রাখতে পারেনি। ব্রাজিল ধীরে ধীরে আবোরো আক্রমণে যায়। ৬৫ মিনিটে ২০ নম্বর জার্সিধারি ভিনিকিউস মধ্য মাঠ থেকে বাড়ানো পাস কাটিয়ে নিয়ে গিয়ে সুইস গোলরক্ষকের হাতের পাশ দিয়ে জালে পাঠালেন, গোলের আনন্দ হয়ে যাবার ১ মিনিট পর রেফারি অফ সাইডের ঘোষণায় হতভম্ব স্টেডিয়ামে ব্রাজিলীয় দর্শক।
কিন্তু এই হতাশা বেশি সময় ছিল না। কারণ ৮৩ মিনিটে মধ্য মাঠ থেকে আক্রমণটা সুইস গোল পোষ্টের সামনে জটলা তৈরি করে। বলে পেয়ে কিক নিলেন ৫ নম্বর জার্সিধারি ক্যাসিমির, কিকটা ছিল সুইস গোলরক্ষসের দৃষ্টির উল্টো দিকে। বলের লাইন বুঝতে ধোঁকা খেয়ে যান সুইস গোলক্ষক (১-০)।
শেষ অবদি ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৬ মিনিট সময়েও ব্রাজিল ১ গোলের লিড ধরে রেখেছিল।