জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন। গতকাল রোববার ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আপেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল খায়ের ভূঁইয়া পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৫ ভোট। এই আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমান। তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চলার কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এরপর আওয়ামী লীগ তাদের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদ ইসলামকে সমর্থন দেয়।
বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ট্রাক প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৮৯ হাজার ৩৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদৌস আরা খান মিনু ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ২৯২ ভোট। এ ছাড়া মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির মুহম্মাদ আলতাফ আলী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৪ ভোট। এখানে প্রথমে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রার্থী ছিলেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়। দলটির বিকল্প দুই প্রার্থী মিলটন মোর্শেদ ও সরকার বাদলের প্রার্থিতাও বাতিল হয় আদালতের নির্দেশে। এরপরই ২৮ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলুকে সমর্থন দেয় বিএনপি।
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
ওই আসনে সিংহ মার্কা নিয়ে নিক্সন পেয়েছেন এক লাখ ৪৩ হাজার ৭০৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের কাজী জাফর উল্লাহ পেয়েছেন ৯৫ হাজার ১৮৮ ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও নিক্সন চৌধুরী আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাফর উল্লাহ চৌধুরীকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচিত গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, চর রাজিবপুর এবং চিলমারী) আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। ওই আসনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের জাকির হোসেন।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম। তিনি পরাজিত হয়েছেন। ওই আসনে জয়ী হয়েছেন বিএনপির মোশারফ হোসেন।
এদিকে সিলেট-২ আসনে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান জয়ী হয়েছেন। দলীয় উদীয়মান সূর্য প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৪২০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ডাব প্রতীকে মুহিবুর রহমান পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৪৯ ভোট। ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আদালতের আদেশে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মোকাব্বির খানকে সমর্থন দেয়।