ঝালকাঠিতে বাড়ছে মিষ্টি আলুর চাষ
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত মিষ্টি আলুর নতুন জাত ‘কমলা সুন্দরী’ মন কেড়েছে ঝালকাঠি এলাকার কৃষকদের। দেশি জাতের মিষ্টি আলুর চেয়ে ফলন ভালো হওয়ায় জেলায় এই জাতের চাষ দ্রুত বাড়ছে।
এমনকি গোল আলুর চাষকেও টেক্কা দিয়ে দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে ‘কমলা সুন্দরী’র চাষ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর জেলায় গোল আলুর চাষ হয়েছে ২৮০ হেক্টর জমিতে। আর মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে এর প্রায় দ্বিগুণ, ৫১০ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা মিষ্টি আলুর বীজ রোপণ প্রায় শেষ করে ফেলেছে।
তারা জানান, এই অঞ্চলে স্থানীয় জাতের মিষ্টি আলু আবাদের চেয়ে কৃষি গবেষণায় উদ্ভাবিত জাতের আবাদ বেশি হচ্ছে। এই অঞ্চলে বারি-১ (তৃপ্তি) ও বারি-৩ দৌলতপুরি জাতের সঙ্গে এবছর বারি-২ (কমলা সুন্দরী) জাতের আবাদ সম্প্রসারণ শুরু হয়েছে।
এসব কৃষকরা দেশিজাতের মিষ্টি আলুর পাশাপাশি পরীক্ষামূলক ভাবে নুতন জাতের কমলা সুন্দরী চাষ করেন। এই অঞ্চলে মিষ্টি আলুর বাজার দরও ভাল। এলাকার কৃষকরা মাঠ থেকে ৫শ থেকে ৬শ টাকা মণ দরে এসব আলু বিক্রি করছেন।
জেলায় এবছর ৪টি উপজেলার মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১৪০ হেক্টর, নলছিটি উপজেলায় ১২২ হেক্টর, রাজাপুর উপজেলায় ৫০ হেক্টর এবং কাঁঠালিয়া উপজেলায় ১৩৫ হেক্টরে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, স্থানীয় জাতের চেয়ে বারি উদ্ভাবিত জাতের মিষ্টি আলুর ফলন প্রায় দ্বিগুন এবং লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা মিষ্টি আলুর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কৃষি বিভাগ বারি উদ্ভাবিত জাতটি কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করে মিষ্টি আলুর চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/রবি