খাসিয়াদের অবরোধমুক্ত করতে নাগরিক সমাবেশ
ঝিমাইপুঞ্জির ৭২টি খাসিয়া পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র রোধ, গাছ কাটা বন্ধ ও তাদেরকে অবরোধমুক্ত করার দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশ করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০.৩০টায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, নিজেরা করি, বেলা, এএলআরডি, গ্রীন ভয়েস, খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও কাপিং ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাপার আদিবাসী পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয়ক ও যুগ্মসম্পাদক শরীফ জামিল, বাপার যুগ্মসম্পাদক মিহির বিশ্বাস ও আলমগীর কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এম রহমতউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল।
এছাড়াও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর সদস্য ড. ফরিদা খান, গ্রীন ভয়েস এর সহসমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন, উবিনীগ এর গবেষণা কর্মকর্তা ড. এম এ সোবহান, হিল ওমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী চঞ্চনা চাকমা, আইন ও শালিস কেন্দ্রের প্রতিনিধি অনির্বান সাহা, নিজেরা করির প্রতিনিধি হাছিনা আক্তার, গ্রীন ভয়েস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক হিরক সরদার, নাগরিক উদ্যোগের প্রতিনিধি এবিএম আনিসুজ্জামান, খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের হোসাইয়া টং পিয়ার প্রমুখ।
সঞ্জীব দ্রং বলেন, “মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ঝিমাইপুঞ্জিতে নিরীহ ৭২টি খাসিয়া আদিবাসী পরিবারের ওপর ঝিমাই চা বাগান কর্তৃপক্ষ বেআইনী হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। গত ২ সপ্তাহ ধরে তাদের একমাত্র যাতায়াতের গেটটি বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এতে তারা মানবেতর জীবন যাপন করার পাশাপাশি উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে।”
শরীফ জামিল বলেন, বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন পুঞ্জিতেই আদিবাসীদের উচ্ছেদ চক্রান্ত ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে। এই চক্রান্ত বন্ধে সকল বিবেকবান দেশপ্রেমিক জনগণ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।
অধ্যাপক রহমত উল্ল্যাহ তার বক্তব্যে বলেন,“সকল নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা করা সরকারের মূল দায়িত্ব। অথচ আদিবাসীরা এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”
প্রতিক্ষণ/প্রেস বিজ্ঞপ্তি/এডি/এআই