টাঙ্গাইলে আওয়ামীলীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ -আহত ১০
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার বেলা সোয়া বারটার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। এতে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আব্দুল বাতেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর খান মেনু দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন।
সংঘর্ষে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হুদা নবীনসহ জেলা, উপজেলার অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রায় এক যুগ পর দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আজ। সম্মেলন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষই অনড় অবস্থানে ছিল। ফলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনও ছিল। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার এমপি সমর্থিত নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগদান করতে শুরু করে।
পূর্বের উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির সভাপতি খন্দকার ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মল্লিকের অনুসারীরাও সমাবেশে আসতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর খান মেনুর বক্তব্যের পর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার ফজলুল হক সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। এতে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর খান মেনু ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এম শিবলী সাদিকের গাড়ি ভাংচুর ও তাদের লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার ফজলুল হক প্রতিক্ষনকে জানান, অগণতান্ত্রিকভাবে এমপি সমর্থিতরা নতুন কমিটি করতে চেয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অবগত হয়ে সকাল নয়টার দিকে কেন্দ্র থেকেই সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন। মূলত মঞ্চে এমপি খন্দকার আব্দুল বাতেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর খান মেনুর উস্কানিমূলক বক্তবের কারণে সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
প্রতিক্ষন/এডি/ সালাহউদ্দিন