ট্রানজিট চুক্তি দাসত্ব: খালেদা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতের সাথে বাংলাদেশের ট্রানজিট চুক্তিকে দাসত্ব বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ প্রসঙ্গে বেগম জিয়া বলেন, ‘বন্ধুত্ব হয় সমানে সমানে। নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব করতে চাই না। সমানে সমানে না হলে তা হবে দাসত্ব।’
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের আজীবন রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রদানের বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দেশের মানুষ ভাত-কাপড় পাক আর না পাক একটি পরিবারের কি আজীবন নিরাপত্তা থাকতেই হবে? যারা দেশের ও মানুষের স্বার্থ না দেখে পরিবার ও দলের স্বার্থ দেখে তাদের জনসমর্থন কখনওই থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাকশাল নয় দেশে রাজতন্ত্র চলছে।’
রাতে গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী নেতাদের নিয়ে একটি মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি প্রধান।
নাম উল্লেখ না করলেও নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে যে ট্রানজিট চুক্তি হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘যমুনা সেতু দিয়ে যাবেন টোল দিতে হবে। শুধু একজনকে টোল দিতে হবে না। বন্ধুত্ব ভালো। কিন্তু নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব হয় না। বন্ধুত্ব হয় সমান সমানে। সমান না হলে বন্ধুত্ব হয় না, দাসত্ব হয়। আমরা তা চাই না।’
বিচার বিভাগ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘পুলিশ এখন সরকারের চেয়ে বড়। তারা বক্তব্য দেয় তারা সরকার টিকিয়ে রেখেছে। পদ্মাসেতু আলোর মুখ দেখবে কিনা তাও বলা মুশকিল। আওয়ামী লীগ কমিশন খাওয়ার জন্য বড় বড় প্রকল্প করছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘এদের জনসমর্থন শূন্য। আমার কারো ফেবার নয়, ফেয়ার নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগের গুণ্ডারা অস্ত্র ছাড়া আসুক সাধারণ মানুষ তাদের পিটিয়ে চ্যাপ্টা করে দিবে। ভয়ে জাতীয় নির্বাচন দিচ্ছে না। প্রেসক্লাবেও ঝামেলা তৈরি করেছে।’
সরকারের সদিচ্ছার অভাবে টিএসসিতে শ্লীতহানির তদন্ত হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
আইনজীবীদের আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে দলকে ভালোবাসতে হবে। সিরিয়াসলি ও ঐক্যবদ্ধ হতে হয়ে কাজ করতে হবে। আমাকে যদি ভালো বাসেন, দলকে যদি ভালোবাসেন তাহলে পূর্ণ প্যানেলকে ভোট দিবেন।’
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর