ডিপ্লোমেটিক জোন থেকে খালেদার কার্যালয় সরান
রবিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বীর উত্তম খাজা নিজাম উদ্দিন মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি নিয়ে আলোচনা’শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন,‘ কিছু কিছু লোককে পত্রিকার পাতায় দেখা যাচ্ছে, টেলিভিশনে রাত বারটার তারা আলোচনার দাবি জানাচ্ছে। তাদের বলবো, কোন বাড়িতে ডাকাত পড়লে মালিক ডাকাতের সঙ্গে আলোচনায় বসে না। দেশে এখন ডাকাত পড়ছে, এদের সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে না, হবে না।’
তিনি বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে বলেন,‘ যারা আলোচনার কথা বলছেন, তাদের বলবো আগে বিএনপিকে নাশকতা থামাতে বলুন। এই জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
ড.হাছান বলেন,‘ রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। ব্রিটিশবিরোধী রাজনীতি যারা করতেন, তাদের দেখলে মানুষ শ্রদ্ধায় অবনত হত। মানুষ সম্মান করতো। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষ হত্যার রাজনীতি চলছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত চক্র ধ্বংসের রাজনীতি শুরু করেছে। এদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন,‘ নির্বাচন আসলে তারা কড়া মুসলমান হয়ে যান, অথচ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জামায়াত ইজতেমার মধ্যে খালেদা জিয়া অবরোধ প্রত্যাহার করেন নাই। ইজতেমাগামী গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরেছেন। এটা কোনো রাজনীতি নয়।’
ড.হাছান বলেন,‘ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব প্রেস ক্লাবে খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন। আমরা বিরোধী দলে থাকলে আর প্রেস ক্লাবে অবস্থান নিলে ঘোষণা দিয়ে গ্রেফতার হতাম। যারা বোরকা পড়ে হাইকোর্টে যান তাদের দ্বারা গাড়িতে পেট্রোলবোমা মারা সম্ভব।’
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক সুরুজ আলম, স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।