ডেনিস মেধাবী ছাত্র মার্টিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
পড়ালেখার কথা বললে কতজন খুশি হয় তা নিয়ে বেশ সন্দেহ আছে। বাচ্চাদের বিরক্তের একটা বড় কারণ পড়তে বসা। সারাদিন খেলতে পারলে আর কথাই নেই। আবার অনেকে আছে কোনোভাবে মুখস্ত করে পরীক্ষা দেয় সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য। আমাদের চারপাশে কতজন আছে যারা আনন্দ নিয়ে পড়ালেখা করে, জানার জন্য পড়ে? এই যখন অবস্থা তখন ডেনমার্কে এমন একজন ছাত্রের সন্ধান পাওয়া গেল যে এক বিষয়ে নয়, দু দুটি বিসয়ের উপর ডিগ্রি নিচ্ছেন!!
ডেনমার্কের ইতিহাসে অন্যতম মেধাবী এবং পরিশ্রমী ছাত্র মার্টিন বাং এর বয়স মাত্র ২১ বছর এবং এরই মধ্যে তিনি নতুন রেকর্ড করে বসেছে। ডেনমার্কের সবচেয়ে জনপ্রিয়, কঠিন এবং সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক দুটি প্রোগ্রাম, কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুলের বিএসসি ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এবং কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন ইকনমিক্স; এ প্রোগ্রাম দুটিতে একই সাথে ভর্তি হয়ে সপ্তাহে গড়ে মার্টিন ৬০ থেকে ১১০ ঘণ্টা নিরলসভাবে পড়াশোনা করে যাচ্ছে।
বিষয়টা অনেকটা এরকম, কেউ ঢাকা ভার্সিটির ইকনমিক্সে পড়ছে। আবার একই সাথে আইবিএর বিবিএ-তেও পড়ছে। কিন্তু সেটি কি সম্ভব? পৃথিবীর কোথাও সেটি সম্ভব না হলেও সুপার ট্যালেন্ট মার্টিন এ অসম্ভবকে সম্ভব করতে যাচ্ছে।
ডেনমার্কে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রোগ্রাম হচ্ছে কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুলের বিএসসি ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এবং এ দেশের সবচেয়ে বেশি গ্রেড পাওয়া মেধাবী ছাত্রছাত্রীরাই এ প্রোগ্রামে ভর্তি হবার যোগ্যতা অর্জন করে থাকে। সেক্ষেত্রে মার্টিন এমনিতেই দেশ সেরা ছাত্র। কিন্তু ডেনমার্কের সেরা ইউনিভার্সিটি কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন ইকনমিক্সে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে মার্টিনকে খরচ করতে হচ্ছে নিজের পকেটের টাকা অর্থাৎ ডেনিশ সরকারের শিক্ষা বৃত্তি শুধুমাত্র একটি ডিগ্রী অর্জনের জন্য হলেও দুটি ডিগ্রীর শিক্ষা বৃত্তির আওতাধীন নয়।
মার্টিনের দিন শুরু হয় সকাল ৮টায় কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি দিয়ে এবং শেষ হয় রাত আড়াইটাই স্টুডেন্ট এপার্টমেন্ট ফ্রেডিক্সবর্গে পড়ার বাতি বন্ধ করার মাধ্যমে!
আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীরা মার্টিনের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারেন, বিশেষত অধ্যবসায় ও চেষ্টার মাধ্যমে অসম্ভবকে যে সম্ভব করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ২১ বছরের মার্টিন।
=======