ক্রীড়া ডেস্ক
চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, অথচ খেলা দেখে কি তা বোঝার উপায় আছে। জার্মানির কথা বলা হচ্ছে, কাতার বিশ্বকাপের আসরে জাপানের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে খাদের কিনারায় পৌছে গেলে ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ আর ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। কাতার বিশ্বকাপ আসরে শেষ ১৬-র হিসেবে থাকতে হলে স্পেনকে হারাতেই হবে! কঠিন মিশন বটে, কারণ ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আসর জেতা স্পেন কোন সহজ
প্রতিপক্ষে নাম না। কিন্ত ড্র করে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে জার্মানি। আজ যদি স্পেন জয় পেয়ে যেত তাহলেই জার্মানির বিদায় ঘন্টা বেঁজে যেত।
ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে ১১ নম্বর তালিকায় থাকা জার্মানির চেয়ে উপরের সারির দল দলের নাম স্পেন, ৭ নম্বরে আছে স্পেন। সেটা ম্যাচে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে জার্মানরা। কয়েক বারই গোল হজম থেকে বেঁচে গেছে জার্মানি। বিশেষ করে প্রধমার্ধের ৩৩ মিনিটে স্পেনের ১১ নম্বর জার্সিধারি টোরিস বাম দিকের ক্রস থেকে
ফাঁকায় গোল রক্ষককে পেয়েও বল বার পোষ্টের উপর দিয়ে বাইরে পাঠালেন।
কিন্তু ৪ম মিনিটে ফাউলের কারণে মধ্য মাঠ থেকে ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে জার্মানির ২ নম্বর জার্সিধারি রুইডিগার বলে কেবল হেড করলেন (১-০) হয়ে গেল! কিন্তু ভিডিও ফুটেজে রেফারি অফ সাইড পেয়ে গোল বাতিল করে দিলেন। গোল শূণ্য প্রধমার্ধে জার্মানি চাপে থেকেই ড্রেসিং রুমে ফেরত যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৯ মিনিটে (ম্যাচের ৫৬ মিনিট) জার্মানির ৬ নম্বর জার্সিধারি কিমিস স্পেনের ডি-বক্সে জটলা থেকে কিক নিলেন, কিন্তু শেস মূহুর্তে গোলরক্ষকের পাঞ্চ স্পেনকে বাঁচিয়ে দেয়। উল্টো ম্যাচের ৬২ মিনিটে গোল পেয়ে গেল স্পেন। বাম দিক থেকে ক্রস থেকে পাওয়া বলে ক্রস কিক নিলেন ৭ নম্বর জার্সিধারি মোরোটা,
গোলরক্ষকের হাত ফাঁকি দিয়ে বল জার্মানির জালে (১-০)।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে জার্মানির ১৪ নম্বর মুসিয়ালা স্পেনের গোলরক্ষকে একা পেয়েও বল হাতে পারলেন, মিস। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে জার্মানির নিকোলাস জটলা থেকে কিক এবার ঠিকই স্পেনের জাল খুঁজে নিয়েছে (১-১)। তবে শেষ দিকে যেভাবে চেপে ধরে জার্মানি তাতে জয়টা পাওয়া উচিত ছিল। শেষ মিনিটে জার্মানির ১৯ নম্বর জার্সিধারি স্যানি স্পেনের গোলরক্ষককে একা পেয়ে কাটিয়ে মিস করলেন, তা না হলে ২-১ গোলে জয় পেত জার্মানি। ২ ম্যাচে ১ হার আর ১ ড্র-তে পয়েন্ট ১।
তাই নিজেদের শেষ ম্যাচে জার্মানি যদি জয় না পায় তাহলে গ্রুপ লেভেল থেকেই বিদায় নিতে হবে ইউরোপের শক্তিশালী দলটিকে। আর স্পেন যদি শেষ ম্যাচে ড্র-ও করে তাহলেও শেষ ১৬-তে জায়গা পাবার সুযোগ থাকবে।
সূত্র : ফিফা