ঢাকায় কুয়াশার চাদর, দেশজুড়ে প্রচন্ড শীত
আবহাওয়া প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকার আকাশে ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে। দুপুর ১২টা অবদি ঘন কুয়াশা ধীরে ধরে হাল্কা হয়ে আসতে শুরু করে। তবে ভোরের দিকে কয়েক হাত দূরের জিনিস দেখাও দুরূহ কাজ। যদিও আগে থেকেই শীতের প্রভাবে জবুথবু অবস্থা গ্রাম অঞ্চলের মানুষের। তবে দেরিতে হলেও ডিসেম্বর মাসের শেষভাগে কল-কারখানা, ইটপাথর আর দূষণের নগরী ঢাকাতেও শীতের উপস্থিতি বোঝা যাচ্ছে।
ঢাকায় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রী সে., চট্টগ্রামে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রী সে., সিলেটে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রী সে., ময়মনসিংহে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রী সে., রাজশাহীতে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ৯.০ ডিগ্রী সে., রংপুরে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৮ ডিগ্রী সে., খুলনায় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৩ ডিগ্রী সে. আর বরিশালে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রী সে.।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, বনানী, এয়ারপোর্ট এবং উত্তরার হাউজবিল্ডিং ও দিয়াবাড়ি এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরের পর থেকে কুয়াশার চাদরে আড়াল হতে থাকে প্রকৃতি। আজও একই আবহাওয়া বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বাংলা পৌষ মাসের তৃতীয় দিনেই ঠান্ডা প্রকৃতি আর এমন কুয়াশা এসব এলাকার শহুরে জীবনে তৈরি করেছে অন্যরকম আমেজ। তবে থেমে নেই কর্মজীবী মানুষের চলাচল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অফিসগামী মানুষের ভিড় দেখা যায় সড়কগুলোতে। সড়কে গাড়ির চাপও ছিল স্বাভাবিক। বেলা বাড়লেও কুয়াশার আধিক্য থাকায় ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় সূর্যের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়।
এ অবস্থায় শীতে ও কুয়াশায় অসুবিধায় পড়ার কথা জানালেন স্বল্পআয়ের মানুষেরা। নিউমার্কেট এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক রহিমুল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, শীতের দিন রিকশা চালানো খুব কষ্ট হয়ে যায়। নাক মুখ দিয়ে ঠান্ডা কুয়াশা ঢুকে পড়ে। পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। রাতে ফুটপাতে থাকতেও সমস্যা হয়। ঠান্ডার কারণে আমাদের মতো গরীব মানুষকে অনেক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়।
এ বছর শীত খানিকটা বিলম্বে এলেও অন্য বছরের তুলনায় শীতের প্রভাব বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ও মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকবে।