তবুও আশা করতে দোষ কী?
যে বয়স দুষ্টুমির, এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানোর , সে বয়সে যখন পরিবারের আয় রোজগারের হাল ধরতে হয় ; খেলা নয় পুরো সময়টা চলে যায় কাজের মধ্যেই তখন সেই শিশু আর শিশু থাকে না। বড়দের মতো কঠিন কঠিন কথা খুব সহজেই বলে ফেলতে পারে। কারো কাছে মনে হতে পারে এ তার কথা নয় আবার কারো কাছে সে ইচড়েপাকা। কিন্তু কেউ তার মনের খবর নেয় না। বলে যায় নানান কথা।
এমন শিশুদের কাজের পাশাপাশি অভিজ্ঞ বড়জনদের কথাও হজম করতে হয়। এরমধ্যে কেউ তা সহ্য করে আবার কেউ প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়ে কিছু একটা বলে ফেলে। তখন বেয়াদব ছেলে, বেশি পেকে গেছে: এসব কথা তাকে শুনতে হয়। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা কাজ করার চেয়ে কাজ করিয়ে নিতে বেশি পছন্দ করি। কথা শোনার চেয়ে কথা শোনানোটাই বেশি পছন্দ করি, কিন্তু বিষয়টি গভীরে গিয়ে চিন্তা করিনা। আসলে দু:খজনক হলেও সত্যি যে, শিশুশ্রম ততক্ষণ পর্যন্ত বন্ধ করা সম্ভব নয় যতক্ষণ না রাষ্ট্রীয় উদ্যগে ঐ শিশুর পরিবারকে সাবলম্বী করা যাবে না। সুতরাং শিশুশ্রম বন্ধ হওয়া সম্ভব, এ ধরণের নীতিরকথার ফুলঝুড়ি আওড়াতে পারছি না।সর্ষের ভিতরেই যদি ভুত থাকে তাহলে সে ভুত কি তাড়ানো যায়??তারপরও আশাবাদী হতে চাই। কারণ এ বৈশিষ্ট্য আমাদের জাতিগত। আমরা আশাবাদী , শিশুশ্রম কেন ; একদিন সব অসংগতিই ঝড়ের মতো তাড়িয়ে দিতে পারবো খুব সহজেই। এতটুকু আশা করতে দোষ কী ? তবে তার সাথে একটু কাজ করলেও ক্ষতি কী?