তাড়াহুড়ো করে ফিরতে হচ্ছে ওবামার রাষ্ট্রদূতদের!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি মাসের ২০ তারিখে দায়িত্ব নিচ্ছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই গোছাতে হবে বেশকয়েকটি দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের। কারণ দায়িত্ব নেওয়ার পর আর কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতদের পুরোনো পদে থাকতে দিতে রাজি নন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূতদের পদটিতে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ করতেই পারেন। প্রশাসন বদলালে সেই রাষ্ট্রদূতদের ইস্তফা দেওয়া একটা প্রচলিত রীতির মধ্যে পড়ে।
কিন্ত নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পাওয়ার পর সবাইকে কয়েক মাস অথবা কয়েক সপ্তাহ সময় দেয়া হয় সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য।
মার্কিন কুটনীতিকদের মতে, এর কারণ দুটি । প্রথমত, নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিতে সময় লাগে। তার আগে পুরোনো দূতের মাধ্যমেই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সাথে যোগাযোগ করে ওয়াশিংটন।
দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রদূতদের ছেলেমেয়ে অনেক সময়ে সংশ্লিষ্ট দেশের স্কুলে কলেজে ভর্তি হয়। তাদের স্ত্রীরাও দেশে চাকরিতে নিযুক্ত হন। তাই পারিবারিক কারণে ও ভদ্রতার খাতিরে কিছুদিন ছাড় দেওয়া হয়।
কিন্ত এতদিনের এই প্রথাও ভেঙে দিলেন নব নির্বাচিত ও বিতর্কিত এই আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সহযোগীরা জানিয়েছেন, ২০ জানুয়ারির পরে কোনো রাষ্ট্রদূতের পদে ওবামার পছন্দের ব্যক্তিকে রাখা হবেনা। ফলে দ্রুত পারিবারিক কাজ গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাহ