তুরস্কের নারী সেনা সদস্যদের জন্য হিজাব উন্মুক্ত
তুরস্কের সেনাবাহিনীর নারী সদস্যদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার। এতদিন ধরে দেশটির সেনাবাহিনীকে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের ধারক বলে মনে করা হতো।
আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্ক সাংবিধানিকভাবে সে দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করেছিলেন। অবশ্য গত এক দশকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান সেই নিষেধাজ্ঞা তুলতে শুরু করেন। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও সেনাবাহিনীতে এটি এতদিন বলবৎ ছিল। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এখন থেকে নিয়মিত সেনা কর্মকর্তা, নন-কমিশনড অফিসার ও ক্যাডেটরা তাদের টুপির নিচে হিজাব পরিধান করতে পারবেন। তবে মুখমণ্ডল পুরোপুরি ঢাকতে পারবেন না।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে খুবই ইতিবাচক বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে বর্ণনা করেছেন।
তুরস্কের সেনাবাহিনীকে এতদিন দেশটির সবচেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান বলে মনে করা হতো। সেনাবাহিনী সবসময়ই রাষ্ট্রের ধর্মীয়করণের বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু গত জুলাইতে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টা করার পর সেনাবাহিনীর উপর সরকার কঠোর নিয়ন্ত্রন আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য দায়ী করা হয়।
এরদোয়ানের সমালোচকরা বলেছেন, তিনি সবার উপর তার ইসলামি এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং ধর্মকে ব্যবহার করে সমর্থনের একটা ভিত্তি গড়ে তুলছেন। তাদের অভিযোগ এরদোয়ান গত কয়েক বছরে তুরস্কের বহু সরকারি স্কুলকে ধর্মভিত্তিক স্কুলে পরিণত করেছেন এবং ধর্মপ্রাণ প্রজন্ম গড়ে তোলার যে অঙ্গীকার দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল