থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপি কমিশনারের আদেশ কেউ মানেনি
বিশেষ প্রতিবেদন
আতশবাজি, পটকা, ফানুস ওড়ানো যাবে না থার্টি ফার্স্ট নাইটে- এ মর্মে আগেই ডিএমপি কমিশনার আদেশ জারি করেছিলেন। কে শোনে কার কথা। আইন না মানাই যেন এদেশের মানুষের রক্তে মিশে আছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপি কমিশনারের আদেশ কেউ মানেনি।
রাত সাড়ে ১১টার পর থেকেই পুরো রাজধানীর আকাশে ফানুস জায়গা করে নেয়। আর মুহু মহু পটকার শব্দে তো কানে তালা লাগার জোড়ার।
মানুষের না-কি চাল কেনার টাকা নেই! অথচ পটকা কেনার টাকা ছেলে-মেয়েদের দিতে পারছে!
থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস ওড়ানো যাবে না। কেউ এ আদেশকে সম্মান জানায়নি নতুন বছরের শুরুতে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে কমিশনারস মিট দ্য প্রেসে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। ডিএমপি কমিশনার বলেন, পর্যাপ্ত পোশাকে ও সাদা পোশাকে রাজধানীজুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সোয়াত, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে।
হাতিরঝিল এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। কোনো গাড়ি রাফ চালানো যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে হেঁটেও প্রবেশ করতে পারবেন তারা।
কিন্তু হাতিরঝিল এলাকায়ও মানুষ ছিল, শহর জুড়েই মানুষ আনন্দে মেতে ছিল ডিএমপির আদেশ অমান্য করেই। বিকট শব্দে গান বেঁজেছে পুরো মধ্যরাতে।