দক্ষিণ সুদানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা
আফ্রিকা মহাদেশের নবীনতম রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ছয় বছরে বিশ্বের কোনো দেশে এই প্রথম দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হলো।
দেশটির সরকার ও জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় এক লাখ মানুষ অনাহারে ভুগছে। ১০ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। গৃহযুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়কেই এই দুর্ভিক্ষের জন্য দোষারোপ করা হচ্ছে। দেশটির ইউনিটি প্রদেশে বর্তমানে দাপ্তরিক ভাবেই দুর্ভিক্ষ কবলিত।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, জরুরি সাহায্য না পৌঁছালে দেশটির দুর্ভিক্ষ অন্যান্য অঞ্চলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ইউনিসেফ জানিয়েছে, দক্ষিণ সুদানের প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সামগ্রী দরকার।
প্রতি ১০ হাজারে ২ জন মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করলে, শতকরা ৩০ ভাগের বেশি লোক চরম অপুষ্টিতে ভুগলে, দৈনিক খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ জনপ্রতি ২১০০ কিলোক্যালরির কম হলে এবং প্রদিন একজন মানুষের ৪ লিটারের কম পানি পান করার মতো অবস্থা তৈরি হলে তাঁকে দুর্ভিক্ষ বলা হয়।
২০১১ সালে দেশটি সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু উদ্বাস্তু পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে জীবনধারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয় সরকার। উপরন্তু ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট সালভা কারাকে উৎখাতের জন্য সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার পর আবারো গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা এমন পর্যায়ে পৌছায় যে দেশটির অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পতিত হয়।
বর্তমান বিশ্বে ইয়েমেন, সোমালিয়া, নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের সতর্কতার মধ্যে রয়েছে। তবে দক্ষিণ সুদান প্রথম দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করলো।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল