দুর্নীতির ২ মামলায় খালেদার জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া । ৫ই মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর বকশিবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালত শুনানি শেষে দুই মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে এদিন ধার্য করেন।
তার সঙ্গে জামিন পেয়েছেন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্য দুই আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
এদিকে মামলার আরেক আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারবেন বলেও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছার পর আত্মসমর্পণ করে জামিনসহ মোট চারটি আবেদন করেন তিনি।
এগুলো হলো- দুদকের দুই মামলায় দুই জামিন আবেদন, যেসব সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে তাদের পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ আবেদন ও জব্দ আলামতের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার আবেদন।
জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, আমিনুল ইসলামসহ অনেকে।
দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল উপস্থিত থাকলেও তিনি কোন আবেদনের বিরোধিতা করেননি।
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বিশেষ জজ আদালতে পৌঁছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বের হন তিনি।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দিনের পর দিন হাজিরা না দেওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এই মামলায় আজ হাজিরা শুনানির দিন ধার্য ছিল ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে দুদক বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক অপর মামলাটি করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এরপর অনেকবার মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। গত ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণও পিছিয়েছে কয়েক দফা। কয়েক মাস ধরে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/আরিফ