দুর্লভ ফুল স্বর্ণঅশোক
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম
স্বর্ণঅশোকে নাম শুনলেই মনে পড়ে সোনালী রং এর কথা। আসলে স্বর্ণঅশোক একটা দুর্লভ ফুল। এর স্থানীয় অন্যান্য কোনো নাম নেই। ফুল ফোটে হেমন্তে ও শীত মৌসুমে। জন্মস্থান : মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা। বিস্তৃতি : ঢাকায় বলধা গার্ডেন এবং বোটানিক্যাল গার্ডেন।
জানামতে স্বর্ণঅশোকের একটিই পরিণত গাছ আছে বলধা গার্ডেনের সাইকি অংশে। তবে কখন বা কোথা থেকে গাছটি এখানে লাগানো হয় তা জানা যায় না।
আমাদের দেশে যে কয় ধরনের অশোক পাওয়া যায় তার মধ্যে স্বর্ণঅশোক বেশ আকর্ষণীয় ও একই সঙ্গে দুষ্প্রাপ্য।অন্যান্য অশোকের সঙ্গে প্রস্ফুটনকালের কিছুটা ভিন্নতা আছে। ফুল উজ্জ্বল সোনালি রঙের বলেই নাম স্বর্ণঅশোক। গাছ মাঝারি আকৃতির। কাণ্ড কালচে রঙের, ডালপালা ঊর্ধ্বমুখী ও শক্তপোক্ত ধরনের।
তবে অন্যান্য অশোকের তুলনায় স্বর্ণঅশোকের পাতা খানিকটা বড়। সাধারণত বাংলা মাসের পৌষ-মাঘ প্রধান প্রস্ফুটন মৌসুম। সারা গাছজুড়ে হলুদ-সোনালি রঙের অসংখ্য গুচ্ছবদ্ধ ফুল ফোটে। তখন ডালপালা পুষ্পভারে কিছুটা আনত থাকে। গুচ্ছবদ্ধ ফুলগুলো উজ্জ্বল রঙের হওয়ায় অনেক দূর থেকেই নজর কাড়ে।
স্বর্ণঅশোক চিরসবুজ ছায়াঘন বৃক্ষ। সাধারণত ১০ থেকে ২৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পত্র পক্ষল যৌগিক, পত্রাক্ষ ২০ থেকে ৫৬ সেন্টিমিটার লম্বা ও রোমহীন। পুষ্পবিন্যাস করিম্ব, ১৭ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার প্রশস্ত, প্রধান শাখাগুলো ৭ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার। পুষ্পদলহীন, সোনালি-হলুদ থেকে ফিকে কমলা, নলাকার, মঞ্জুরিপত্র ডিম্বাকার, আশুপাতি, মঞ্জরি ২টি, ২ থেকে ৫ মিমি লম্বা, দীর্ঘায়ত-ভল্লাকার, আশুপাতি, বৃন্ত ১০ মিমি লম্বা, পুষ্পাধার ১ থেকে আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা।
বৃত্তাংশ ৪টি, ৫ থেকে ১০ মিমি, হলুদ। পুংকেশর ৩ থেকে ৬টি, পরাগধানী উপবৃত্তাকার, ১ থেকে ২ মিমি লম্বা। ফল পড, ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার, ভল্লাকার-দীর্ঘায়ত, ফিকে লাল, বেগুনি লাল, বাঁকা, ঠোঁটযুক্ত, কখনো প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার। চিরসবুজ অরণ্য এবং উষ্ণ অঞ্চল পছন্দ।
প্রতিক্ষণ/এডি/আকিদুল