দূর থেকেই চাই বাংলাদেশ এগিয়ে যাক
অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ হয়েছে। একটি ফেডারেল গভর্নমেন্ট বা জাতীয় সংসদ নির্বাচন, একটি রাজ্য সরকার আর শেষেরটি সিটি কাউন্সিল বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এদেশে প্রতিটি নাগরিকের ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক।
অসুস্থ বা বিদেশে অবস্থানের মতো অনিবার্য্য কারণ না থাকলে সবাইকে সব ধরণের নির্বাচনে ভোট দিতেই হবে। যদি কেউ ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ভোট না দেন তাহলে তাকে গুনতে হবে জরিমানা। সেই জরিমানার টাকা সময় মতো না পরিশোধ করলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করে দেয় সরকার। পাশাপাশি ব্যাক্তির ক্রেডিট রেটিংএ পড়ে লাল কালির দাগ। ফলে সারা জীবন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড, হোম লোন বা কার লোনের মতো ঋণ জাতীয় পণ্যগুলোর আবেদন নাকচ হবার আশংকা থাকে।
এখানে (অস্ট্রেলিয়াতে) নির্বাচনে কোনো ঝক্কি ঝামেলা নেই, জাল ভোট নেই, নেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর সংস্কৃতি। পাঁচ সাত মিনিটের মধ্যেই ভোট দেয়ার কাজ শেষ করা যায়।
বাংলাদেশে সবশেষ ভোট দিয়েছিলাম ২০০৮ সালে। আমার ভোটটা আমি সবসময়ই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে দিয়েছি। আর হয়তো কোনো দিনও বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে ভোট দেয়া হবে না। তবে দূর থেকে সব সময়ই চাই দেশটা এগিয়ে যাক, মাথা উঁচু করে দাঁড়াক বিশ্ব মানচিত্রে। আর এজন্য আমার প্রত্যাশা আগামীকালের নির্বাচনে দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নয়, বরং বেছে নেবে দেশ প্রেমিক রাজনৈতিক শক্তিকে।
#অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাহাদাত রিয়াদের ফেসবুক ওয়াল থেকে