দেশবাসীকে রাস্তায় নামতে বললেন এরশাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন নেই মন্তব্য করে জনগণকে রাস্তায় নামার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। আপনারা রাস্তায় নামুন। প্রতিবাদের ঝড় তুলুন। আমরা আর বসে থাকবো না। আমরা আর মানবো না। সন্ত্রাসীদের সমাজ আমরা চাই না।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সারাদেশে শিশু ও নারী হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় পার্টি আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির ভাষণে এরশাদ এই আহ্বান জানান। এরশাদ মানববন্ধনে না দাঁড়ালেও খোলা গাড়িতে করে প্রেস ক্লাব থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রাস্তায় নিজেই শ্লোগান দেন। একই দাবিতে সারাদেশেই মানবন্ধন পালন করেছে জাতীয় পার্টি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমি সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে নই, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে নই, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ করতে এসেছি। আমি বলতে এসেছি, কেন এমন হচ্ছে? সমাজের সর্বত্র বিশৃঙ্খলা। আমরা এমন ছিলাম না। আগে আমরা কবিতা লিখতাম। রাখালের বাঁশির সুর শুনতাম। সেদিন কোথায় গেল? এরশাদ বলেন, এর জবাব চাই সমাজের কাছে, সরকারের কাছে। এখন যদি প্রশ্ন করি কেন এমন হচ্ছে? সবাই বলবে, রাজনৈতিক কারণে। এই সমাজে মানুষ বাস করতে পারে না। এদের বিচার করুন। ফাঁসি দিন। শিশু হত্যা, নারী লাঞ্ছনা বন্ধ করুন।
এরশাদ বলেন, গণতন্ত্র বলতে আমরা কি বুঝি? মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার, বাঁচার অধিকার। কিন্তু আজ কোথায় বাঁচার অধিকার? সরকারকে বলতে চাই, আমাদের বাঁচার অধিকার কে দেবে? সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন,অপরাধ করে অপরাধীরা যদি দেশের বাইরে চলে যায় তাহলে অপরাধ কমবে কি করে? আপনারা আর চুপ থাকবেন না। প্রতিবাদের আওয়াজ তুলুন। শিশু নির্যাতন, নারী লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। এসময় এরশাদ সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রতিবাদ করবেন? রাস্তায় নামবেন? আওয়াজ তুলুন। জাপার কর্মীরা হাত তুলে এরশাদের বক্তব্যকে সমর্থন জানান।
এরশাদ জনতার কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন এমন হচ্ছে? এরশাদই উত্তরে বলেন, আইনের শাসনের অভাব। মূল্যবোধের অভাব। সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হলে নারী নির্যাতন চলতেই থাকবে। এটা আমরা মানবো না। মতিঝিলে সমবেত কর্মীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ আরও বলেন, বিবেকের তাড়নায় আমি আজ রাস্তায় নেমেছি। আমার হৃদয় রক্তাক্ত। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। মানুষ পরিবর্তন চায়। জনগণ দুই নেত্রীকে চায় না। আমরা ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো। কথা বলার সুযোগ দেব।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির