দেয়ালে ছুঁড়বেন তো ফেঁসে যাবেন
‘প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’। এখন থেকে নিউটনের এই তৃতীয় সূত্রটির বেশ ভালো চর্চা হতে যাচ্ছে লন্ডনের পথেপ্রান্তরে! আচ্ছা, বাংলাদেশের কোন সূত্রটি নিউটনের এ সূত্রের সাথে দারুণভাবে মিলে যায় বলুনতো? যদি এটা লন্ডন না হয়ে বাংলাদেশ হতো; তাহলে আমরা বলতাম, ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। এবার লন্ডনবাসী পাটকেলের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে। এখন থেকে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে শৌচকর্ম সাধন করা আর সম্ভব হচ্ছে না। বুঝিয়ে বলছি।
এখানে প্রস্রাব করিবেন না লেখাটির সাথে আমরা খুবই পরিচিত। রাস্তায় চলতে গিয়ে প্রায়ই পাশের দেয়ালে এ ধরণের একটি সতর্কবাণী দেখে থাকি। তবে কখনো কখনো তার সাথে যুক্ত হয় আরো একটি কথা; ‘করিলে ৫০ বা ১০০ টাকা জরিমান’। তবু অনেকেই এই শুভ কর্মটি নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছেন।
তবে তাদের জন্য দুঃসংবাদ এসে গেছে, এখন থেকে আর কোন সতর্কবার্তা দিয়ে আপনাকে প্রস্রাব করতে নিষেধ করা হবে না । তবে এক্ষেত্রে বরাবরের মতো আপনি যখন কাজটি সম্পাদন করতে যাবেন; তখন আপনার ছোঁড়া বস্তু আপনার গায়েই ফিরে আসবে।একটু আগে বাংলা প্রবাদটি বলেছিলাম না, ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।
এখন থেকে লন্ডনের দেয়ালে দেয়ালে এক ধরনের বিশেষ রং লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে । এই রঙের বিশেষত্ব হলো, কেউ যদি দেওয়ালে যে কোনো ধরণের তরল পদার্থ ছুঁড়ে ফেলেন, সঙ্গে সঙ্গে তা ছিটকে এসে ঐ ব্যক্তির গা ভিজিয়ে দেবে। রংটি তরল পদার্থের বিরুদ্ধে এক ধরনের বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলে তরল পদার্থ দেওয়ালের গা বেয়ে না পড়ে উল্টো দিকেই ছিটকে চলে আসে। ফলে কেউ যদি পাঁচিলের গায়ে প্রস্রাব করতে যান, ঐ রঙ-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আর ভিজিয়ে দেবে সেই ব্যক্তিকে!
এই চমৎকার রঙটি প্রথম লন্ডনের হ্যাকনি কাউন্সিলের পাঁচিলে লাগানো হয়। হাতে হাতে ফলও পাওয়া গিয়েছে। সেখানকার এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যবস্থার পর যদি লোকজন একটু সতর্ক হন তাহলে ভালো।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেবিএম