নতুন টাকায় ঈদ সালামি
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
ঈদ। শব্দটি শুনলেই ছেলে-বুড়ো সবার মন অনাবিল আনন্দে পরিপূর্ণ হয়। এমনই এক আনন্দের উপলক্ষ্য ঈদ।
ঈদ-উল-ফিতরের আর বেশি দেরি নেই। সবাই মোটামুটি ঈদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে। নতুন জামা, নতুন জুতা কেনা হয়ে গেছে সবারই। এমনকি ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাস কিংবা ট্রেনের টিকেটও কাটা হয়ে গেছে। কী কী রান্না হবে ঈদের দিনটিতে সে পরিকল্পনাও করা শেষ।
কিন্তু এসব প্রস্তুতিতেই কি শেষ ঈদের আয়োজন? না, এসবের পরও একটা অনুষঙ্গ বাকি থেকে যায় ঈদ আনন্দে পরিপূর্ণতা আনয়নের জন্য। আর তা হচ্ছে ঈদ সালামি।
বাড়ির শিশু-কিশোরদের কাছে এই ঈদ সালামিটা অনেক প্রতীক্ষিত, অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। চাচা, মামা, খালা, ফুফু কিংবা দাদা-দাদীদের কাছ থেকে যে মোটা অংকের সালামি তারা যোগাড় করে ঈদের দিন সেটা দিয়েই দেখা যায় বছরের একটা লম্বা সময় তারা হাত খরচ মেটায়। কিংবা কেনে শৌখিন জিনিসপত্র। তাই ঈদ আসার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বাড়ির ছোটরা জল্পনা-কল্পনা করতে থাকে ঈদ সালামি নিয়ে।
আর বাড়ির বড়রা, তারাও নিজেদের ঈদ বোনাসের একটি অংশ আলাদা করে রাখেন সালামির জন্য, বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটাবেন বলে।
প্রচলিত প্রথা হলো নতুন চকচকে নোটে সালামি দেওয়া। হ্যা, পুরনো নোটেও টাকার মূল্য বা সালামির আনন্দ কমে না তবে যারা সালামি দেয় ও নেয় তারা সালামি হিসেবে নতুন নোটকেই পছন্দ করে। এ যেন ঝকঝকে ঈদে চকচকে আনন্দ। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও ঈদ সামনে রেখে প্রতি বছর নতুন নোট বাজারে ছাড়ে।
এবার ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট মজুদ রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এ টাকা সংগ্রহ করা যাবে। একজন ব্যক্তি ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৭০০ টাকার কাগুজে নোট সংগ্রহ করতে পারবেন।
আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত নতুন নোট সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে এক ব্যক্তি একবারই নতুন টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ২, ৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকার একটি করে বান্ডিল অর্থাৎ মোট ৮ হাজার ৭০০ টাকার কাগুজে নোট সংগ্রহ করা যাবে। তবে যে কেউ চাইলে ইচ্ছেমতো ধাতব মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ৩ টি কাউন্টার ও সদরঘাট অফিস এবং ন্যাশনাল ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক প্রভৃতি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে। বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিস দুটি ও অন্যান্য অফিস দুটি করে কাউন্টার খোলা রাখবে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে অবস্থিত বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৩টি শাখা এবং বগুড়া, বরিশাল, রংপুর ও রাজশাহীতে অবস্থিত বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২টি শাখার মাধ্যমে নতুন নোটের বিনিময় করা হবে।
তাহলে আর দেরি কেন? দ্রুত নতুন নোট সংগ্রহ করে নিন। একটি নতুন চকচকে নোট হাতে পেয়ে আপনার বাড়ির শিশু-কিশোরদের মুখে যে হাসি ফুটবে তা আপনার ঈদের আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া