বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মহাসমারোহে উদযাপিত উৎসব পহেলা বৈশাখ।নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন নিয়ে বৈশাখের আগমন ঘটে। বৈশাখের এই আগমনকে উৎসবমুখর করার লক্ষ্যে এবং সকলের মাঝে বাঙালির গৌরবময় ঐতিহ্যকে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব আয়োজন করেছে “বৈশাখী মেলা ১৪৩০”।
গত ৮মে,২০২৩, রোজ সোমবার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই মেলার আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,শহরের যান্ত্রিকতায় বাঙালির পুরনো সংস্কৃতি “বৈশাখী মেলা” বিলুপ্তির পথে।বাঙালির এই সংস্কৃতি নতুনরূপে উপস্থাপনের লক্ষ্যেই এই বিশেষ উদ্যোগ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর জনাব আতিকুল ইসলাম,প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড.মোঃইসমাইল হোসাইন এবং স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর ড.গৌড় গোবিন্দ গোস্বামী এর উপস্থিতিতে সকালে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক,শিক্ষার্থীসহ ক্লাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।মেলা স্টলের ব্যবস্থা করা হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ স্টলের মাধ্যমে মেলায় অংশগ্রহণ করে।
স্টলগুলোতে বাহারি পদের খাবার,মাটির তৈরি জিনিসপত্র,শখের হাঁড়ি,আকর্ষণীয় অলঙ্কারসহ অসংখ্য রঙিন দর্শনীয় বস্তু লক্ষ করা গেছে। স্টলগুলো ছিলো বাংলা শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে নাগরদোলার ব্যবস্থাও করা হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবংকর্মকর্তাদের কোলাহলে সরগরম হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ।বাঙালির ঐতিহ্যও সংস্কৃতিকে এই প্রদর্শনী দেখতে ভারতের কয়েকজন বিশিষ্ট অতিথি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী এই প্রাণবন্ত মেলায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।
বৈশাখী মেলার আয়োজন নিয়ে ক্লাবটির ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইসর জনাব মেসবাহ উল হাসান চৌধুরী বলেন, “বাঙালি ঐতিহ্যের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বৈশাখী মেলা। কিন্তু সময়ের সাথে আধুনিকতায় আমাদের এই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে|আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বাঙালি ঐতিহ্য এবংসংস্কৃতির সাথে পুনরায় পরিচয় করিয়ে দিতেই এই বৈশাখী মেলার আয়োজন। এই মেলার মাধ্যমে সকলে নতুন করে বাঙালি শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে উদ্বুদ্ধ হবে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের উদ্যোগে এমন একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পেরে আমরা গর্বিত”।