নিজেকে দীর্ঘায়ূ করে ফেলুন ৭টি উপায়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোন কারণে কষ্ট পেলে বা মন খারাপ থাকলে অনেকেই হয়তো পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা মাথায় আনেন। কিন্তু এই সব ঘটনা বাদে কেউই নিজের পরিবার পরিজন ছেড়ে যেতে চান না।এই পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার কথা কল্পনা করতে পারেন না। সুস্থ সবল একজন মানুষ সবসময়েই চান তার পরিবারের সাথে জীবনের অনেকটা সময় কাটাতে। কিন্তু নানা কারণে মানুষের গড় আয়ু কমেই চলেছে। ২০-২৫ বছর পার হলেই মনে হতে শুরু হয় হাতে আর সময় বেশি বাকি নেই। কিন্তু আপনার আয়ু বাড়াতে আপনারই ছোটোখাটো কিছু অভ্যাস এবং কাজ অনেক বেশি কার্যকরী ফল দিতে পারে। আপনি নিজেকে দীর্ঘজীবী করতে এই ছোট্ট কয়েকটি কাজ তো অনায়েসেই করে ফেলতে পারেন।
১) প্রতিদিন খান বাদাম
অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের পরিবর্তে বাদাম রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। ২০১৩ সালে, নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন স্টাডির একটি গবেষণায় দেখা যায় যারা নিয়মিত বাদাম খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় অনেক কম থাকে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন দিনে ২০ টির বেশি বাদাম খাবেন না।
২) সকালে ১ কাপ ব্ল্যাক কফি
সকালের নাস্তার পর ১ কাপ ব্ল্যাক কফি দীর্ঘমেয়াদী রোগের সম্ভাবনা একেবারেই কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা যায় সকালে ১ কাপ ব্ল্যাক কফি কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, ডায়বেটিস, অ্যালজেইমার্স ইত্যাদি সমস্যা দূরে রাখে। দিনে ২ কাপের বেশি কফি না পান করাই ভালো।
৩) পর্যাপ্ত ঘুম
গবেষণায় দেখা যায় কম ঘুমানো, ঘুম না হওয়া, অনিদ্রার সমস্যায় যারা বেশি ভোগেন তাদের দেহে অন্যান্য রোগ বেশি বাসা বাঁধে। কারণ ঘুমের সাথে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জড়িত থাকে। ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়।
৪) সকল ধরণের কার্বনেটেড ড্রিংকস বাদ দিন
একটু তেষ্টা পেলেই সফট ড্রিংকসের বোতলে চুমুক দেয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন, এতে কমবে মৃত্যুঝুঁকি। এই ধরণের কার্বোনেটেড ড্রিংকসের কারণে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়াও ওজন বৃদ্ধির কারণে দেহে নানা রোগ বাসা বাঁধে।
৫) প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট হলেও দৌড়ান
গবেষণায় দেখা যায় দৌড়ানোর মতো ভালো অভ্যাসটি হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায় ৫৮% এবং অকালমৃত্যু ঝুঁকি কমায় ২৮%। তবে আপনাকে ঘণ্টা দুয়েক দৌড়াতে হবে না। দিনে নিয়ম করে ৫ মিনিট হলেও দৌড়ানোর অভ্যাস করুন।
৬) প্রচুর পরিমাণে মাছ খান
গন্ধের কারণে অনেকেই হয়তো মাছ পছন্দ করেন না, মাংসের প্রতিই ঝোঁক থাকে। কিন্তু মাংসের তুলনায় মাছ আমাদের দেহের জন্য ভালো। মাছের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের দেহের সার্বিক উন্নতিতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করে প্রায় ৩৮% পর্যন্ত অকাল মৃত্যুঝুঁকি কমে।
৭) জীবনের প্রতি ইতিবাচক চিন্তা
গবেষণায় দেখা যায় অনেক আশাবাদী ইতিবাচক মানসিকতার মানুষের আয়ু অন্যান্যদের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। নিরাশা এবং জীবনের প্রতি নেতিবাচক চিন্তা আমাদের জীবন থেকে জীবনকে কেড়ে নেয়। তাই হাসি খুশি থাকুন এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন।প্রিয় মানুষটির সাথে নিজের জীবনকে উপভোগ করুন ।
প্রতিক্ষণ/ডেস্ক/তাফসির