নিজের শ্রম দ্বারা অর্জিত উপার্জনই শ্রেষ্ঠ উপার্জন
প্রতিক্ষণ ডটকম:
ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। যা কিছুতে শান্তি ও কল্যাণ আছে তা-ই ইসলাম করতে উৎসাহিত করে। ইসলাম কখনো এই শিক্ষা দেয় না যে, জোর-জুলুম করে অপরের কিছু ভক্ষণ কর। কারণ এতে কল্যাণ নেই। ইসলাম বলে পরিশ্রম করে যে সম্পদ তুমি অর্জিত করবে তার মাঝেই কল্যাণ রয়েছে। নিজের শ্রম দিয়ে হালালভাবে উপার্জন করার জন্য পবিত্র কোরান ও বিশ্ব নবি শ্রেষ্ঠ নবি হজরত মুহম্মদ [সা.] আমাদের শিখিয়ে গেছেন। পবিত্র কোরানে বর্ণিত হয়েছে যখন নামাজ পড়া সমাপ্ত হয়ে যায়, তখন তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ [জীবিকা] অনুসন্ধান কর [সুরা জুমুআ :১০]।
আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা শুধু ইবাদত করার জন্য বলেন নাই বরং বলা হয়েছে নামাজ শেষ করে জমিনে চলে যাওয়ার জন্য অর্থাৎ জীবিকার সন্ধান করার জন্য। পবিত্র ধর্ম ইসলামে শ্রমিকের কাজকে সর্বোচ্চ মূল্য দেয়া হয়েছে। হজরত রাসুল পাক [সা.] বলেছেন, শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার আগেই তার মজুরি পরিশোধ কর। তিনি [সা.] আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজে নিজে রোজগার করে জীবন পরিচালনা করেন, আল্লাহ তার প্রতি খুশি। একবার হজরত রাসুল করিম [সা.]-এর কাছে কোনো এক সাহাবা [রা.] জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, কোন ধরনের উপার্জন শ্রেষ্ঠতর। উত্তরে তিনি [সা.] বললেন, নিজের শ্রম দ্বারা অর্জিত উপার্জন।
ইসলাম তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাজ গঠন করতে মানুষকে শিক্ষা দিয়ে আসছে। আর ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হলো ন্যায়বিচার এবং শ্রমিকের অধিকারকে পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করা। ইসলামের দৃষ্টিতে একজন শ্রমিক মালিকের কাজের দায়িত্ব নিয়ে এমন এক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়, যা শুধু তার সংসার নির্বাহের জন্য নয় বরং আখেরাতের সফলতা অর্জন করার ক্ষেত্রেও এ দায়িত্ব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই ইসলামে মালিক ও শ্রমিকের ওপর আবশ্যক বিধিমালা উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করেছে। কেননা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমেই যে কোনো বিষয়ে সঠিক ফয়সালা হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন, আমিন। সুত্র- প্রিয় ইসলাম।
মাওলানা মিরাজ রহমান