নিধনই কি জঙ্গি সমস্যা সমাধানের উপায়?
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ৬ জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং একজন আহত হয়েছে। ফলে অভিযানকে সফল বলে ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একটি প্রশ্ন তবু থেকেই যায়। জঙ্গি নিধনই কি জঙ্গি সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়?
জঙ্গিদের যখন হত্যা করা হয়, তখন একজন ব্যক্তি জঙ্গির মৃত্যু হয় কিন্তু জঙ্গিবাদের বিষাক্ত মতবাদের মৃত্যু হয় না। সেই বিষাক্ত মতবাদের মৃত্যুর জন্য প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
যে তরুণকে জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতার করা হলো তার আইনানুগ শাস্তি তো অবশ্যই প্রয়োজন, সেই সাথে প্রয়োজন পুনর্বাসন পরিকল্পনা। তার মস্তিষ্ক যে অসুস্থ পদার্থে ভরে গেছে তা থেকে তাকে মুক্ত করে সুস্থ করে তোলা প্রয়োজন। এ কথা কেবল গুলশান হামলায় আটক তরুণটির জন্যই নয়, বরং জঙ্গি সন্দেহে আটক সব তরুণের জন্য প্রযোজ্য।
আর এই সুস্থতা দানের কাজটি করতে পারেন বড় বড় ইসলামি চিন্তাবিদ, সঠিক ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম-ওলামারা। তারা এইসব ব্রেইন ওয়াশড তরুণদের মাথায় ইসলামি মূল্যবোধ সম্পর্কে যে সব ভুল ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে তার চমৎকার যুক্তি খন্ডনের মাধ্যমে এসব তরুণদের মনে আলো জ্বালাতে পারেন।
এছাড়াও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সঠিক ইসলামি শিক্ষার উপর আলোচনা, কনফারেন্স প্রভৃতি করা যেতে পারে যাতে করে তরুণরা ইসলাম ভেবে ভুল পথে পা না বাড়ায়।
অপারেশনের সময় জঙ্গি হত্যা করা হয়তো বাধ্যতামূলক ছিল, কিন্তু তথাকথিত ক্রসফায়ারজনিত কারণ মৃত্যুগুলো ঠেকানো খুব জরুরি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ফাহিম নামের একজন জঙ্গি পুলিশি হেফাজতে “ক্রসফায়ারে” মৃত্যুবরণ করেছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া