নীল জলের দেশ দুর্গাপুর বিরিশিরি
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
নেত্রকোনা জেলার সর্ব উত্তরে ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের কোল ঘেষে নিরব দাঁড়িয়ে ছোট্ট জনপদ দুর্গাপুর বিরিশিরি।
এখানে আছে শান্ত-স্বচ্ছ সোমেশ্বরীর সুনির্মল জল, উজ্জ্বল বালুকাবেলা, সাদা কাশবন আর আছে গারো-হাজংদের বৈচিত্র্যময় জীবনধারা।
চীনামাটির পাহাড়ের বুক চিরে জেগে উঠেছে এই নীলচে-সবুজ পানির হ্রদ। সাদা মাটি পানির নীল রঙটাকে যেন আরো বেশি গাঢ় করে দিয়েছে।
বর্ষায় সোমেশ্বরীর তীরবর্তী বিরিশিরির সৌন্দর্য বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। দূরের পাহাড় থেকে নেমে আসা উত্তাল ঢলের রুদ্ধরূপ বর্ষায় বিরিশিরি ঘুরতে আসা পর্যটকদের দেখায় তার বন্য সৌন্দর্য।
শান্ত-স্নিগ্ধ, সবুজে ঢাকা ছিমছাম পরিবেশ। এখানেই শান্ত-স্বচ্ছ সোমেশ্বরী। ধীরে বয়ে চলা এ নদীটি অসাধারণ সুন্দর। শান্ত-নিবিড় সোমেশ্বরী ধীরলয়ে বয়ে চলছে। ওপারে উপচেপড়া সবুজের হৃদয়কাড়া হাতছানি। উত্তরের হিমেল হাওয়া এবং সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ জলধারায় নিমিষেই যেন সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায় পর্যটকদের। সোমেশ্বরীর গভীরতাও অবিশ্বাস্য রকমের কম। এই নদীতে কয়লা পাওয়া যায়। গ্রামবাসী পানির নিচে ডুব দিয়ে তুলে আনে কালো সোনা। এই কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় কল-কারখানায়। রপ্তানি পণ্য হিসেবে এর সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
ময়মনসিংহ থেকে বিরিশিরি পর্যন্ত রাস্তা মাত্র ৩৫-৩৬ কিলোমিটার। যাদের নিজস্ব বাহন নেই তাদের ঢাকা থেকে বাসে ময়মনসিংহ, তারপর দুর্গাপুর যেতে হবে বাস বা ম্যাক্সিতে। এ ছাড়াও দুর্গাপুর থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তর সীমান্তে পাহাড়ের চূড়ায় রানীখং গির্জা অবস্থিত। এই পাহাড়ের চূড়া থেকে বিরিশিরির সৌন্দর্য যেন অন্য মাত্রা পায়।
বিরিশিরির নিরিবিলি ছিমছাম শান্ত পরিবেশ মনে প্রশান্তি এনে দেয়। এমন পরিবেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতেও আপনার খারাপ লাগবে না। ঢাকা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় চার ঘণ্টা। বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির নিজস্ব রেস্ট হাউস ও জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, ওয়াইএমসিএ নামক প্রতিষ্ঠানের গেস্ট হাউস আছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল