রকিব হাসান তুহিন
পাখির প্রতি ভালবাসা নেই এমন মানুষের খোঁজ মেলা ভার। ফেইসবুকের সুবাদে পাখিপ্রেমীদের যোগাযোগ বেড়েছে অনেক বেশি। বেচাকেনা সবকিছুর প্রাথমিক আলাপ চলছে ফেইসবুকের চেটিংয়ে। অপূর্ব সুন্দর সুন্দর পাখির ছবি আপলোড হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে ভালবাসা আর উপার্জন দুটোই চলছে সমান্তরালভাবে।
শখের বসে বাজেরিগার পাখি পালন করে এখন অনেক তরুণই হয়েছেন স্বনির্ভর। বাড়তি এই আয় দিয়ে পরিবারের অভাব-অনটন ঘুচিয়েছেন অনেক গৃহিনীই। এই খাঁচার পাখিকে ঘিরে কাঁটাবন, মীরপুর ও কাপ্তানবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠেছে পাখির মার্কেট। এছাড়া অনলাইনেও চলছে বেচাকেনা। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভারত-পাকিস্তানের সাথে পাল্লা দিয়ে উন্নত মিউটেশনের পাখি বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাজেরিগার সোসাইটির হেড অফ এডমিন সুলতান বাবু ।
বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। এই কথার সূত্রে অনেকেরই ধারণা পাখিরা বনেই মানানসই। অথচ পৃথিবীতে এমন কিছু পাখি রয়েছে যেগুলো খাঁচাতেই বেশি মানানসই। তার মধ্যে অন্যতম বাজেরিগার। প্রকৃতিতে ৩-৪ বছর বাঁচলেও খাচায় এরা বাঁচে ৭-১০ বছর। টিয়ের মতো দেখতে ছোট প্রজাতির এ পাখিটি নানা রং এর হয়। সারাদিন পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয় চারদিক।
শখ করে এ পাখিপালন শুরু করেন গৃহিনী রাজিয়া সুলতানা। শখ থেকে এখন এটি হয়ে দাঁড়িয়েছে তার পরিবারের বাড়তি আয়ের উৎস। তার মতে, বাসার এক কোণে, সিঁড়িঘরে, বাড়ির ছাদে অথবা বারান্দায় ছোট্ট পরিসরে অনায়াসেই বাজেরিগার পালন করা যায় । উন্নত মিউটেশনের পাখি পালনের মাধ্যমে ভালো দামও পাওয়ার কথা জানালেন পাখি পালকরা।
পড়াশোনার পাশাপাশি পাখি পালন শুরু করেন ছাত্র রাফি। পাখিপালন থেকেই চলছে তার পড়াশোনার খরচও। এতে তার পরিবারের চাপও কিছুটা কমেছে বলে তার মত।
বাসার এক রুমে বছর চারেক আগে পাখি পালন শুরু করেন হাসান শুভ্র। এখন প্রতি মাসে তার বাড়তি আয় পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকা।
পুরান ঢাকার ওয়ারীতে নিজ বাসায় পাখির এক বিশাল খামার গড়ে তুলেছেন নিয়াজ শক্তি। বাজেরিগার ও কোকাটেলসহ বিভিন্ন জাতের পাখি রয়েছে তার সংগ্রহে। শখের বশে পাখিপালন এখন পরিণত হয়েছে পেশায়। এ থেকে ভালো আয়ও করছেন তিনি।
পাখির খাবারসহ নানা চাহিদার তাগিদে রাজধানীর কাপ্তান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে পাখির মার্কেট। অনলাইনের পাশাপাশি এসব মার্কেটেও চলে বেচাকেনা।
সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় উন্নত জাতের বাজেরিগার পাখি বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাজরিগার সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর হেড অব অ্যাডমিন সুলতান বাবু। পড়াশোনা বা চাকুরীর পাশাপাশি পাখি পালনের মাধ্যমে যে কেউ স্বনির্ভর হতে চাইলে তাকে তথ্যগত সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে বাজেরিগার সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
পাখির প্রতি ভালবাসা খারাপ নেশা থেকে দূরে রাখতে পারে তরুণ প্রজন্মকে। তাই একটি পাখি কিনে দিন আপনার সন্তানকে। হয়তো সেখান থেকেই শুরু হবে তার ভবিষ্যৎ আয়ের পথচলা। সাথে পাবে মানবিক শিক্ষাও।
****যেকোন মিউটেশনের ফ্রেশ বাজেরিগার পাখি কিনতে চাইলে আজই যোগাযোগ করুন ‘বাজরিগার কল সেন্টারে’। অর্ডার দেয়ার ২/৩ দিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্খিত পাখি। ফোন-০১৮১৯৭৪১৮০৫
======