নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইলিশ আনন্দে মতোয়ারা জেলেরা, নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

প্রকাশঃ নভেম্বর ৪, ২০২২ সময়ঃ ৮:৫৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৯ অপরাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

হাতিয়া দ্বীপ বাসী বেজায় খুশি। হবারই তো কথা, জাল ফেললেই তো শত শত ইলিশ ধরা পড়ছে। খুুশি হবে না কেন! নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক নৌকায় ১১৭ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। ইলিশ আনন্দে মতোয়া জেলেরা।

ইলিশগুলো নিলামে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ভোলার দৌলতখানের জেলেরা। গেল বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।

ট্রলারের মালিক কামাল কোম্পানি বলেন, আমরা ২২ জন জেলে ভোলার দৌলতখান থেকে মাছ ধরতে যায়। ৫ দিনে এত মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত। আল্লাহ আমাদের ভালো মাছ দিয়েছেন। এফবি রায়হানের সারেং সফিক মাঝি বলেন, ইলিশের আকার বিভিন্ন ধরনের হয়েছে। তবে সাগরের ইলিশ বড় বড়। আমরা ফোনে যোগাযোগ করে সব মাছ মেঘনা ফিশিংয়ে বিক্রি করেছি। এখানে ভালো দামও পেয়েছি।

মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, এফবি রায়হান-১ বোটের মালিকের বাড়ি ভোলায়। তিনি ফোনে মাছ পাওয়ার কথা জানালে আমরা চেয়ারম্যান ঘাটে আসতে বলি। ১১৭ মণ ইলিশ মাছ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা করে নিলামে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখতার হোসাইন বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর গভীর সমুদ্রে যাওয়া ফিশিং বোট ফিরতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তরের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সুফল হয়েছে। জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাচ্ছে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G