পর্তুগালের প্রবাসীদের একুশ উদযাপন
রনি মোহাম্মদ,(পর্তুগাল থেকে)
একুশের সন্ধ্যায় সুদূর পর্তুগালে প্রবাসী বাঙালীদের সমন্বয়ে মহান ভাষা দিবস পালন করা হয় গভীর শ্রদ্ধার সাথে। এতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও পর্তুগালের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহআরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলির মধ্য দিয়ে গতকাল সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে পর্তুগালে ২য় বৃহত্তম শহরে বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর আয়োজনে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীর সেই রক্তাক্ত গৌরবের দিন নিয়ে একটি ডকুমেন্টারী দেখানো হয়। এর মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর সভাপতি শাহ আলম কাজল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মামুন হাজারীর পরিচালনায় সন্ধ্যা ৮টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর ধারাবাহিকভাবে পর্তুগাল সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডঃ জোসে লুইস কার্নেইরো, ডঃ ফেরারা লিদা (সভাপতি বোর্ড অব পার্লামেন্ট), ডঃ তিয়াগো বারবোজা (সংসদ সদস্য পর্তুগাল), পোর্তোর স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডঃ মেনুয়াল গাদাস, ডঃ এন্থনি ফনসেসকা, ডঃ ফনসেসকা কারভেইলো, ডঃ এন্থনি রুইপেস, ডোনা নাতালিয়াসহ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে শহীদের স্মরণ করে বলেন,‘প্রবাসে বেড়ে উঠা বাংলাদেশীবংশোদ্ভূত নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বাংলা শেখায় আগ্রহী হন না। তাই পর্তুগালে বসবাসরত নতুন প্রজন্মের বাঙালির কাছে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস ব্যাপকভাবে উদযাপনের জন্য কমিউনিটির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই’।
তিনি ক্যামেরা মিউনিসিপাল লিসবনকে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণেরর জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন পোর্তোতেও একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মিত হবে।
অনুষ্ঠানে শেষে আগত অতিথিদের মাঝে ২১শের ক্রেস্ট তুলে দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আলিম, নজরুল ইসলাম শরিফ, মোশারফ হোসেন কিরণ, নাইম নিয়াজ জামশেদ, ফারুক হোসেন, নাজির, শরিফুজ্জামান, ইদ্রিস মাতবর, কাজল আহমেদ, মজিবুর রহমান, মোঃ রাকিব, মোঃ হাই, মোঃ হাবিবুর রহমান, মাহাব্বত আলম টিপু, তৌহিদুল ইসলামসহ কমিউনিটির নেত্রীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে শেষে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পোর্তোর পক্ষ থেকে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ