পহেলা বৈশাখে মনু ব্যারেজে পর্যটকদের ঢল
মাহমুদ এইচ খান, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে শুষ্ক মৌসুমে বোরো চাষে ব্যবহারের জন্য মৌলভীবাজার শহরতলীর মাতারকাপনে মনু নদীর উপরে তৈরি করা হয় মনু ব্যারেজ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে স্থানটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে থাকে। বিশেষ দিনগুলোতে কোলাহলমুক্ত পরিবেশের আশায় এখানে ঢল নামে পর্যটকদের। এবারের বৈশাখেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পহেলা বৈশাখে সকাল থেকেই শত শত বিনোদন প্রেমিদের আগমন ঘটে মনু ব্যারেজে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৈশাখী সাজে নানা আয়োজন নিয়ে মনু ব্যারেজে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। নৈসর্গিক সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে অনেকেই ফটো স্যুটিং আর সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যায়। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে অস্থায়ী ব্যবসা নিয়ে বসেছেন অনেকে। পর্যটকদের আনাগোনায় পুরো এলাকায় প্রাণচঞ্চল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
মনু ব্যারেজকে কেন্দ্র করে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে একটি রিসোর্ট ও পার্ক। লেকটিতে ভাড়ায় চালিত নৌকা ভ্রমণেরও ব্যবস্থা রয়েছে। লেকের তীরেই গড়ে ওঠা পার্কে ছোট-বড় সবার জন্যই বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
মনু ব্যারেজে পহেলা বৈশাখে আসা কয়েকজন পর্যটকের সাথে কথা হলে তারা জানান, এই এলাকাটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সরকারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হলে শহরের মানুষের বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হতো। এমনিতে আমরা পর্যটন জেলার বাসিন্দা হয়েও জেলা শহরে পর্যটনের নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
ট্যুরিজম এক্সিকিউটিভ এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার (টিম) এর প্রধান সৌমিত্র দেব টিটু বলেন , ‘আমরা পর্যটনের উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা, কিন্তু দিন দিন প্রশাসন শহরের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। মনু ব্যারেজটিও একসময় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত ছিল কিন্তু তা আজ আর নেই বললে চলে। এই জায়গাটির যে পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার। ব্যারেজের সৌন্দর্য বর্ধন করলে মৌলভীবাজারের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় স্থান পাবে এটি’।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই